কালকের পর থেকেই থমথমে রাস্তাঘাট, দোকানপাট। বাজার এলাকাও থমথমে। সমস্ত দোকান বন্ধ। কোনও রেস্তোরাঁ পর্যন্ত দিনভর খোলেনি। থাঙ্গাল বাজারের আশপাশে যে সব হোটেল রয়েছে, সেখানকার আবাসিকদের জন্য পরিষেবা ছাড়া আর কিছু দেওয়া হচ্ছে না। কিছু প্রাইভেট গাড়ির দেখা মিলছে ঠিকই, বাস কিংবা অটো কার্যত বিরল। যা দেখে চিন্তিত ইস্টবেঙ্গল শিবির। কারণ আজকেই ইম্ফলের খুমান লাম্পাক স্টেডিয়ামে নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে নামার কথা আলেহান্দ্রো ব্রিগেডের। কিন্তু এলাকার এমন পরিস্থিতিতে কি আদৌ সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তভাবে কি মাঠে নামতে পারবে কোলাডো-সামাদরা?
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার পর থেকে দেশ জুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে এর প্রভাব যথেষ্ট গভীর। যার জেরে অরুণাচল ও মণিপুরে ৫০ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। সোমবার দিনভর এ নিয়ে ছিল যথেষ্ট চাপানউতোড়। যা আজ আরও বাড়বে বলেই ধারণা অনেকের।
এরফলেই প্রশ্ন উঠছে, ইম্ফলে ইস্টবেঙ্গল বনাম নেরোকা ম্যাচ সুসংগঠিতভাবে হবে কিনা! আয়োজক নেরোকার কর্তারাও দুশ্চিন্তায় আছেন। নেরোকা কোচ গিফট রাইখান এ দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আশা করি সব আশঙ্কা মিটিয়ে ম্যাচটা হবে।’ সেই কারণে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে তড়িঘড়ি ইম্ফলের প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, দরকার পড়লে দর্শকহীন অবস্থায় পুলিশি পাহারায় ম্যাচটা করা হোক।