সোমবার বিধানসভায় রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও গ্রামোন্নয়নের বর্তমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, রাস্তা তৈরির প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে, বাকি ৫০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে রাজ্য। তাহলে কেন রাস্তার নাম প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা হবে! তাহলে প্রকল্পের নামকরণ হোক ‘মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিবৃতির উপরে শাসকদলের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, সমীর জানা গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় ন’পাতার বিবৃতি পাঠ করে বলেন, ‘জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী যে গ্রাম স্বরাজের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, এ রাজ্যে তা বাস্তবায়িত করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও গ্রামের উন্নতিতে পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয়েছে পাইলট প্রজেক্ট। যে প্রজেক্টের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দেশ-বিদেশে সমাদৃত। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য, পিছিয়ে পড়া এলাকা এবং গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আমাদের দফতরকে জানাবেন, নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ২০১০-’১১ সালে যেখানে ১,৮০,৫২০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০১৮-’১৯ সালে ৫,৫০,৫৯২টি বাড়ি তৈরি হয়েছে। যা তিনগুণেরও বেশি। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ২০১০-’১১ সালে যেখানে ৪,৬৬,৩১১টি শৌচালয় তৈরি হয়েছিল, সেখানে ২০১৬-’১৭ সালে ২৩,২২,৪৩৪টি শৌচালয় তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে। কারণ তৃণমূলের উদ্দেশ্যই হল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করা।