রাজ্যে বড়সড় লগ্নি টানতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এই লগ্নি টানার হাতিয়ার হয়ে উঠছে উপকূল। উপকূলকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগের লক্ষ্মীলাভের আশা করছে নবান্ন। নীল নকশা তৈরি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটন ও শিল্পের প্রসারে। সেই লক্ষ্যেই ১১ ও ১২ ডিসেম্বর বাণিজ্য সম্মেলন হতে চলেছে দিঘায়। অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, ওই সম্মেলন থেকে একাধিক ঘোষণা হবে। রাজ্যের উপকূলে তৈরি হবে পর্যটন ও শিল্পের নতুন সম্ভাবনা।
সেই সম্ভবনার কথাই তুলে ধরা এদিন। লগ্নিকারীর যে এক গুচ্ছ সুবিধা পাবে সেই তালিকাও করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাদের মতে, দিঘা,মন্দারমনি, শঙ্করপুর, তাজপুর সমুদ্রতটকে জুড়ে মুম্বইয়ের ধাঁচে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র সেতু। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ। দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের ৮টি রাজ্য- ভুটান,নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও কুয়ালালামপুরে সঙ্গে উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা। তার সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
এছাড়াও জোর দেওয়া হবে শুকনো মাছ, ফল-ফুল রফতানি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে। রাজ্যের শিল্প দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন দেশ থেকে ইতিমধ্যেই এসেছে বিনিয়োগ প্রস্তাব। যেমন- বীরভূমের দেওচা-পাচামির কয়লাখনিতে বিনিয়োগে আগ্রহী পোল্যান্ড ও চেকোস্লোভাকিয়া। হস্তশিল্পে লগ্নিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। বিদ্যুতক্ষেত্রে বিনিয়োগে সম্মত অ্যারামকো।
এছাড়াও, তাঁত ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণেও এসেছে লগ্নির প্রস্তাব। আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দিঘায় রাজ্যের বিজনেস কনক্লেভে ৩৫ টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। আমন্ত্রিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, চেকোশ্লোভাকিয়া, অস্ট্রেলিয়া, চিন, বাংলাদেশের মতো দেশের প্রতিনিধি ও শিল্পপতিরা।