গতকাল উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পেয়েই পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন ধর্ষিতাকে। তবে তাতে প্রাণে না মরলেও ২৩ বছরের ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। এখন ৯০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন উন্নাওয়ের ধর্ষিতা তরুণী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গায়ে আগুন লাগা অবস্থাতেই এক কিলোমিটারেরও বেশি পথ চিৎকার করতে করতে ছোটেন নির্যাতিতা। তার পরে ওই অবস্থাতেই এক জনের মোবাইল চেয়ে, তা থেকে ফোন করেন পুলিশকে। তার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছে উদ্ধার করেন নির্যাতিতাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ভেবেছিলেন, তাঁরা কোনও ডাইনি দেখছেন।
সিন্দপুরের গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গায়ে আগুন নিয়েই সাহায্যের জন্য ছুটছিলেন তরুণী। বেশ খানিকটা পরে রবীন্দ্র প্রকাশকে দেখতে পান তিনি। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, “মেয়েটি দৌড়ে আসছিল, ‘বাঁচাও বাঁচাও’ করে চিৎকার করছিল। ও এমন ভাবে জ্বলছিল, আমি নিজেই প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। ভাবি কোনও অশরীরি এসেছে। আমি সামনে পড়ে থাকা একটা ডান্ডাও কুড়িয়ে নিই, আত্মরক্ষা করার জন্য। আমিও চিৎকার করছিলাম ভয়ে। ওই অবস্থাতেই মেয়েটি নিজের পরিচয় দেয়। কিন্তু তবু আমি কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম। ও আমার ফোনটা চায়। দিয়ে দিই। তখন ১১২ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেয় ও নিজেই।”
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। কাকভোরে বাইশওয়াড়া বিহার স্টেশনের দিকে রওনা হতেই হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ তাঁর পথ আটকায়। জানা গেছে, আপাতত ৯০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন উন্নাওয়ের ধর্ষিতা তরুণী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় তাঁকে।