এবার তৃণমূল কর্মীদের বৈভব ও অহঙ্কার ত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘যাঁর যা আছে থাকুক। আমজনতাকে এই বিলাস-ব্যসন দেখানোর প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ এ সব ভালো ভাবে নেয় না।’
পাশাপাশি, সদ্য তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয় নিয়ে বেশি মাতামাতি না করারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ওই বৈঠকে প্রায় ২০০ জন তৃণমূল নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘অর্থ বা গয়না অনেকেরই থাকতে পারে। কেউ সে সবের ভাগ চাইছে না। কিন্তু এই বৈভব প্রদর্শন বন্ধ করা দরকার। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়।’
গাড়ি, বাড়ি, টাকাপয়সা, সোনা-রুপোর গয়না ইত্যাদির প্রদর্শন অনেক নেতার কাছে রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার এই নিয়ে সতর্ক করেছেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘কোথায় কে কী করছে, কী বলছে, কার বাড়ি কেমন, কার ক’টা গাড়ি আছে, সব আমি জানি। আমার চোখকে কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না।’ প্রশান্ত কিশোরও নেত্রীর সুরেই উত্তর ২৪ পরগনার নেতাদের সতর্ক করলেন। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার দুটি লোকসভা আসন এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে অনেকে দলীয় নেতা ভালো কাজ করেছেন, আবার কেউ কেউ কিছুই করেনননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘সাংগঠনিক কাজে যুক্ত না থেকেও যাঁরা ভোটে লড়ার টিকিট পেয়ে যাবেন ভাবছেন, তাঁরা ভুল করছেন। সাংগঠনিক কাজই নির্ধারণ করবে কোন নেতা ভোটের টিকিট পাবেন।’