গতকালই আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে গায়ে আগুন দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় উন্নাও কান্ডের ধর্ষিতাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দিল্লীর একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। এবার সেখানেই পুলিশের কাছে বয়ানে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, কাল তাঁকে রেল স্টেশনের কাছে ঘিরে ধরে প্রথমে বেত দিয়ে পেটানো হয়। তার পর তাঁর গলায় বসানো হয় ছুরির কোপ। রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রায় অচৈতন্য ধর্ষিতা তরুণী পুলিশের কাছে এমনই বয়ান দিয়েছেন। জানিয়েছেন, রায়বেরেলির আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার জন্য তিনি ভোর ৪ টের সময় তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন রেল স্টেশনে। পথে ওঁত পেতেছিলেন সেই পাঁচ জন। যাঁদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তিনি। বাকি তিন জনের মধ্যে দু’জন তাঁদের বাবা।
ধর্ষিতা জানিয়েছেন, ওই পাঁচ জন তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে। সেখানে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাঁকে বেত দিয়ে পেটানো হয়। তাতে রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁর গলায় ছুরির কোপ বসানো হয়। তার পর পেট্রোল ছিটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর সারা গায়ে। ধরানো হয় আগুন। পুলিশকে ধর্ষিতা বলেছেন, ঘটনার পর আমি চেঁচাতে থাকলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাঁরাই পুলিশ ডাকেন।’
যে দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী, তাঁদের এক জন জেলে আটক শিবম ত্রিবেদী জামিনে ছাড়া পান পাঁচ দিন আগে। অন্য অভিযুক্ত শুভম ত্রিবেদীকে পুলিশ ধরতে পারেনি। কিন্তু সে দিন শিবমের সঙ্গেই ছিলেন শুভম। তিনি শিবমের প্রতিবেশী। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি দেখেছিলেন, অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় ছোটার সময় আর্ত চিৎকার করেছেন ধর্ষিতা। তিনি তখন তাঁর মোবাইল ফোন থেকে পুলিশের ১০০ হেল্পলাইন নম্বরে ডায়াল করেন।