মোদী সরকারের নোটবন্দীর ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দেশের মানুষ। মোদী জামানায় রীতিমতো কোমায় চলে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। এমনটাই মন দেশের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদদের। এহেন পরিস্থিতিতেই দেশের অর্থনীতি ইস্যুতে চেনা ছন্দে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘সারা দেশেই শিল্পে একটা অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা!’
বৃহস্পতিবার কলকাতায় বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের সামনে বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান করার পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা। তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্ক কি করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। টাকা তোলার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এমনটা আগে কখনও আসেনি। দেশে চলছে বিভাজনের রাজনীতি। বাড়িতে টাকা রাখলে নোটবন্দী হচ্ছে আর ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে লুঠবন্দী হচ্ছে। মানুষ কোথায় যাবে?’ পাশাপাশি বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘এখানে জমি রয়েছে চাইলে আপনারা বিনিয়োগ করতে পারেন।’ তাঁর কথায়, বাংলায় শিল্প পরিস্থিতি ধ্বংস হয়েছে ট্রেড ইউনিয়নের জন্য। যদিও সেই নেতিবাচক রাজনীতি এখন বন্ধ হয়েছে বলে দাবি মমতার।
এর পাশাপাশি, মমতার বরাবরের অভিযোগ ছিল, মোদী বিরোধী কথা বললেই তার পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। এদিন আরও একবার সে প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘এজেন্সির ভয়ে সবাই তটস্থ।’ এরপরই রাজভবনকে একহাত নেন মমতা। তাঁর দাবি, ‘বাংলায় সমান্ত্রাল সরকার চালানোর চেষ্টা চলছে। যার জন্যই দুদিন বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করে দিতে হয়েছে।’