এ রাজ্যেও এনআরসি হবে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে বাংলায় অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যাই নাকি এখনও জানা যায়নি! বুধবার দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি পরিচালনার পরিকল্পনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হলে সংসদে মিলেছে এমনই উত্তর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই বিশাল কাজটি সম্পাদনা করবে। তবে কীভাবে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে এখনও বিশদে কিছুই ঠিক হয়নি। তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রি সরকারকে প্রশ্ন করেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বাংলাতেও পরিচালিত হবে কিনা এবং এই রাজ্যে বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছে কোনও তথ্য থাকলে তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানান, ‘যেহেতু অবৈধ অভিবাসীরা অনৈতিকভাবে এবং গোপনে ভ্রমণ সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গ সহ এই দেশের নানা রাজ্যে প্রবেশ করে, তাই পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী এই ধরনের অভিবাসীর সংখ্যার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।’
রাজ্যসভায় লিখিত একটি জবাবে নিত্যানন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টি এবং সুরক্ষা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়গুলি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব স্তরের আলোচনাসহ বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত উত্থাপিত হয়। ভারতে, বিশেষত সীমান্ত এলাকা ও নদীর পাশের জায়গা দিয়ে তাদের নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।’
সমালোচকদের মতে, দেশজুড়ে এনআরসি পরিচালনা করা আসলে জনগণের করের অপচয় মাত্র। একজন উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘কংগ্রেস সরকার ২০০৫ সালে অসমে এনআরসি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং পুরোটা শেষ করতে ১৪ বছর সময় লেগেছে। ভারত জুড়ে এই এনআরসি করতে কত সময় লাগবে তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত নয়।’