সাংস্কৃতিক পীঠস্থান বাংলা। উৎসবের আবহাওয়ায় মুড়ে থাকে বাংলা। আর সেই রেশ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে মমতা সরকারের আমলে। এই শীতের আমেজে শহরে শুরু উৎসবের মরশুম।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/985008015189692/
কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে কলকাতা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গেল সঙ্গীত মেলা। বুধবার নজরুল মঞ্চে সেই ৮ দিন ব্যাপী বাংলা সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবের শুভ সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার সঙ্গে এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রায় সব নক্ষত্র। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, উষা উত্থুপ, হৈমন্তী শুক্লা, কুমার শানু, অভিজিৎ থেকে শুরু করে উপস্থিত ছিলেন ঝুমুর, কীর্তন, বাউল, সাঁওতালি গানের শিল্পীরাও। মঞ্চে উঠে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান সব শিল্পীদের। সেই সঙ্গে বিশেষ ধন্যবাদ জানান ইন্দ্রনীল রায় এবং সুরজিৎকে। অসাধারণ নৃত্য পরিবেশনের জন্য ধন্যবাদ জানান ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর দলকে। শিল্পী এবং যন্ত্রশিল্পীদের নিয়েই যে সঙ্গীতের সংহতি তৈরি হয় তা স্মরণ করিয়ে দিতে ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে এই মঞ্চে পেয়ে মমতা খুবই খুশি তা যেমন বললেন তেমনই সন্ধ্যাকে অনুরোধ করলেন দুকলি গান শোনানোর জন্য। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় এবারের মঞ্চে নেই। তাই মঞ্চে বারবার তাঁর কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন সন্ধ্যা। মমতার কথাতেইগান গাইলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। স্ত্রোত্রপাঠ দিয়ে শুরু করলেও পরে তিনি ধরেন শ্যামল মিত্রর বিখ্যাত গান ‘ও মন কখন শুরু কখন যে শেষ’।
বয়সের ভারে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছেন না কিন্তু মাইক হাতে যখন খালি গলায় সুর লাগালেন তখন মায়াবী রামধনু আঁকা হয়ে গেল নজরুল মঞ্চে। তাঁর গান শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে অনুরোধ করেছিলেন যেন গানের পর সন্ধ্যাদিকে সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান।
এদিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত সম্মান পেলেন ওস্তাদ আশিস খান, ড. শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, শ্রী দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, প্রভা সেনগুপ্ত, সোমলতা আচার্য চৌধুরী, রঞ্জন প্রসাদ, মিতা চট্টোপাধ্যায়, মধুরিমা দত্ত চৌধুরী, চন্দন রায়চৌধুরী, মনোজ মুরলী নায়ার, নাজমূল হক, সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ বর্মন, রিনা দাস। নাচনি ঝুমুরের জন্য পুরুলিয়া থেকে বিশেষ সম্মান পেলেন তারা দেবী মাহাত।