কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের পরাজয়ে প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা বিজেপি মহলে। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে আক্রমণ করে করা ওই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।
শঙ্কর চক্রবর্তী গত বছরের জুলাই মাসে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর দাড়িভিট কাণ্ডের পুলিসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। এরপরই শঙ্করবাবুকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে দলের মালদা জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেন।
কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে হারের পর সবাই যখন কারণ কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত, তখন বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শঙ্করবাবু লেখেন, ‘শেষপর্যন্ত কালিয়াগঞ্জে হারের আসল আসামী পাওয়া গেল, আমি। সৌজন্যে সেন্ট্রাল মিনিস্টার দেবশ্রী চৌধুরী। ফোন করে জানালেন সকালের ট্রেন বা এনআরসি নয়। নিউজ পেপার রিপোর্টাররা আমার কথায় নিউজ করে। তাই হেরেছে। যত নিউজ হয়, সব পয়সা দিয়ে আমি করাই। ধন্যবাদ দিদি। এসব ছাড়ুন সকালের ট্রেনটা দিন। তারপর পার্টি থেকে আমার মতো লোককে তাড়িয়ে দিন।’
শঙ্করের এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। শুধু ফেসবুক পোস্টেই শেষ নয়। বিজেপি নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘আমাদের মতো নিষ্ঠাবান বিজেপি কর্মীদের দূরে সরিয়ে দিয়ে ঠিকাদারদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিশু ও নারীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।’ এমনকি দেবশ্রী চৌধুরী আজ তাঁকে ফোন করে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ক্রেন শঙ্কর। যদিও এই বিষয়ে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।