মোদী আমলে সারা দেশে যখন অর্থনৈতিক মন্দার চিত্র, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানায় বাংলার চিত্র আলাদা। গ্রাম ও শহর মিলিয়ে সার্বিক ভাবে দারিদ্র কমেছে ৬ শতাংশ হারে। গোটা দেশে যখন গড়ে দারিদ্রের হার বেড়ে গিয়েছে তখন বাংলার এই ছবিটা তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই দারিদ্র কমার হার বেশি।
যোজনা কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বাংলায় ১৯.৯৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করতেন। গ্রামে দারিদ্রের হার ছিল ২২.৫২ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ বসবাস করতেন দারিদ্রসীমার নীচে। শহরে তখন দারিদ্রের হার ছিল ১৪.৬৬ শতাংশ। শহরে ৪৩ লক্ষ ৮৩ হাজার মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গ্রাম ও শহরে মানুষের চাহিদা এবং খরচ বিচার করে সম্প্রতি ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশন (এনএসএসও) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেই রিপোর্ট নিয়ে হইচই হতে তা অবশ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু সেই ফাঁস হয়ে যাওয়া রিপোর্ট থেকেই দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ ভারতে দারিদ্রের হার বেড়ে গিয়েছে গড়ে চার শতাংশ। ২৬ শতাংশ থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ।
হিসেবমতো ২০১১-১২ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে বাংলায় সার্বিক ভাবে দারিদ্রের হার কমে হয়েছে ১৩.৯৮ শতাংশ। বলাই বাহুল্য, ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর থেকে বাংলায় শাসনক্ষমতার নেতৃত্বে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এই কৃতিত্বও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারেরই।