এবার যোগীরাজ্যের গাজিয়াবাদে দেখা গেল বুরারি কাণ্ডের ছায়া। বহুদিন ধরেই ব্যবসায় মন্দা চলছে। সেই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিল। আর তাই বেছে নিলেন এরকমই এক কঠিন রাস্তা। দুই সন্তানকে ঘুমের মধ্যে খুন করে স্ত্রী ও সঙ্গিনীকে নিয়ে বহুতল থেকে মরণঝাঁপ দিলেন সেই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম এলাকায়। জানা গিয়েছে, আর্থিক অনটনের মধ্যে ছিলেন গুলশন নামে ওই ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার ভোরে নিজের ছেলে ও মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে খুন করেন। তারপর স্ত্রী ও তাঁর ব্যবসার অংশীদার থাকা সেই মহিলাকে নিয়ে ইন্দিরাপুরমের বৈভব খণ্ডের বহুতলের ৮ তলা থেকে মরণঝাঁপ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গুলশন ও তাঁর স্ত্রীর। সঙ্গিনীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইদানীং আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে তাঁর বিজনেস পার্টনার সঞ্জনা গুলশনের বাড়িতে আসেন। তারপর রাতে সন্তানদের খুন করে গুলশন আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেইমতো ঘুমন্ত দুই সন্তান কৃতিকা (১৮) ও হৃতিককে (১৩) শ্বাসরোধ করে খুন করেন গুলশন। পোষা খরগোশকেও মেরে ফেলেন। তারপর স্ত্রী ও সঞ্জনার সঙ্গে আবাসনের ৮ তলা থেকে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেওয়ার আগে ফ্ল্যাটের দেওয়ালে একটি সুইসাইড নোট, ৫০০ টাকার দুটি নোট ও বাউন্স হওয়া চেক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ প্রথমে ভেবেছিল সঞ্জনা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলা গুলশনের বিজনেস পার্টনার। সুইসাইড নোটে গুলশন ব্যবসায় মন্দার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এইসময় দেশে আর্থিক মন্দা চরমতম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার রেশ পড়ছে ব্যবসায়। তাই এই কঠিন সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।