অজিত পাওয়ারকে দলে টেনে দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। মাত্র ৩ দিন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার পর এখন তিনি প্রাক্তন। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দিনদুয়েকের মধ্যেই বড়সড় সমস্যায় পড়লেন ফডনবিশ। নিজের নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি অভিযোগ বেমালুম চেপে যাওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন তিনি। যেই কারণে নাগপুর পুলিশ সমন পাঠিয়েছে দেবেন্দ্রকে।
সূত্রের খবর, ফডনবিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী, নির্বাচন লড়ার আগে হলফনামায় সেই মামলার কথা উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু তা তিনি করেননি। যে কারণে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দিনই সম্মানহানী হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। নাগপুর পুলিশ বৃহস্পতিবারই দেবেন্দ্র ফডনবিশকে স্থানীয় এক আদালতের সমন নোটিশ পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, রিপ্রেজেন্টশন অফ পিপল অ্যাক্ট ১৯৫১-এর ১২৫ এ ধারা ভঙ্গের ভিত্তিতে ফডনবিশের বিরুদ্ধে এই মামলা চলবে।
এই প্রেক্ষিতে ফডনবিশের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও জমা পড়েছিল ১ নভেম্বর। ফৌজদারি মামলার কথা হলফনামায় উল্লেখ না করার জন্য ফডনবিশের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। হলফনামায় এই ধরনের তথ্য গোপন করা ফৌজদারি আইন হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা সত্ত্বেও এমনটা কেন হল তা জানতে চায় আদালত। ফডনবিশের বিরুদ্ধে এই আবেদন জানিয়েছিলেন সতীশ উকে নামক নাগপুরেরই এক আইনজীবী। প্রথমে তাঁর এই আবেদন বম্বে হাইকোর্ট খারিজ করে দিলেও সুপ্রিম কোর্ট তাঁর এই আবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় আদালতকে ব্যবস্থা নিতে বলে।
