লোকসভা নির্বাচনের পরেই ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দল ছেড়ে অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে বিজেপি শিবিরে নাম লেখান। যার ফলে ভাটপাড়া হাত ছাড়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু হিন্দি গো-বলয়ের পার্টির সঙ্গে তাঁরা কেউই মানিয়ে নিতে পারেননি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে গত ৬ নভেম্বর তৃণমূল ভবনে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক নেতার উপস্থিতিতে ওই ১২ জন কাউন্সিলরই ফের দলে ফিরে আসেন। আজ তাঁদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সেই বৈঠকে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পরিষদীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তাপস রায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্য বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ‘মিউনিসিপ্যাল আইন অনুযায়ী কোন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সেই পুরসভায় অনাস্থা নিয়ে আসা যায় না। আগামী ৪ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানের মেয়াদ ৬ মাস শেষ হচ্ছে। তারপরই আগামী ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের তরফে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।’
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর বর্তমান ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং এর ভাইপো সৌরভ সিং এবং ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা সোমনাথ তালুকদার দুজনকেই নিয়মানুযায়ী অনাস্থা নিয়ে আসার জন্য সময় দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর যদি তাঁরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৪ জানুয়ারি ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি হবে। সেক্ষেত্রে নতুন বছরে নতুন পুর বোর্ড হবে ভাটপাড়ায়।
এর আগে হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, গারুলিয়া পুরসভা পুনরুদ্ধার করেছে শাসকদল। তারপর থেকেই তৃণমূলের নজরে ছিল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ‘দুর্গ’ ভাটপাড়া। গত ৬ নভেম্বর ১২ জন কাউন্সিলর ফের নিজেদের ঘরে ফিরে আসায় পুরসভার পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। তার রেশ ধরে এবার সরকারিভাবে এই পুরসভা থেকে বিজেপিকে উৎখাতের তোড়জোড় শুরু করে দিল তারা।