গতকাল লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলেছিলেন বিজেপির প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা। তখনই লোকসভায় বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, “সন্ত্রাসবাদী প্রজ্ঞা সন্ত্রাসবাদী গডসেকে বলছেন দেশভক্ত। ভারতের সংসদের ইতিহাসে এই দিনটি খুবই দুঃখের।”
টুইটে রাহুলের বক্তব্য, সাধ্বী প্রজ্ঞার এই মন্তব্য আদতে আরএসএসের মনের কথা। বিজেপির অন্তরের কথা। প্রজ্ঞা যা বলেছেন, আরএসএস ঠিক সেটাই মনে করে। বিজেপিও বিশ্বাসী সেই একই মতাদর্শে। প্রজ্ঞার মন্তব্যের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীও। বলেছেন, ‘‘প্রজ্ঞার মন্তব্য সত্যিই খুব বেদনাদায়ক। ওই মন্তব্যের নিন্দা যে ভাবে করা দরকার, কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তা করেছে।’’
এর আগে লোকসভা ভোটের সময়েও নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলেছিলেন প্রজ্ঞা। তখন তা নিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ছি ছি পড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেইমুহূর্তে আসরে নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন তিনি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে এধরনের মন্তব্য করা নিন্দাজনক, সভ্য সমাজে অচল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, উনি ক্ষমা চাইতে পারেন, কিন্তু আমি ওনাকে কখনওই ক্ষমা করব না।
যদিও শেষ পর্যন্ত ভোপাল থেকে জয়ী হন প্রজ্ঞা। কিন্তু তার পরেও বিতর্কিত মন্তব্য করা ছাড়েননি। ভোপালে দলের একটি কর্মসূচিতে গিয়ে এও বলেছিলেন, যে নর্দমা পরিষ্কার করার জন্য আমি সাংসদ পদে নির্বাচিত হইনি। সাতসকালে অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বিজেপি বিবৃতি দিয়ে বলে, তাঁরা প্রজ্ঞার মন্তব্যকে সমর্থন করছে না। এমনকি তাঁকে ডিফেন্স প্যানেল থেকেও বাদ দেওয়া হয়।