মহারাষ্ট্র ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর আজ বাংলার উপনির্বাচনেও পর্যুদস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির। এইমুহূর্তে খানিকটা টালমাটাল অবস্থাতেই রয়েছে বিজেপি সরকার। নিজেদের সামলাতে বেশ খানিকটা সময়ের দরকার। কিন্তু মোদী বাহিনীকে সেই সময় দেবে না ঝাড়খণ্ড, এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষা। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডে শুরু বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও জোর ধাক্কা খেতে পারে বিজেপি, জানাচ্ছে সি-ভোটার সমীক্ষা। তেমন যদি হয় তবে পুরোপুরি মহারাষ্ট্রের ছায়া ভর করে রয়েছে বিজেপি শিবিরের ওপর।
সি-ভোটার সমীক্ষা বলছে, ঝাড়খণ্ডের ৬০% মানুষ বিজেপির রঘুবর দাসকে আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই দেখতে চান না। এই মনোবৃত্তি নিয়ে যদি তাঁরা ভোট দেন, তবে বিজেপির ক্ষমতায় আসা যথেষ্ট সংশয়ের। সংস্থার মতে, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অত সহজে পাবে না গেরুয়া শিবির। এই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিরোধী শক্তি সেখানে জোট গঠন করেছে। সুতরাং মহারাষ্ট্রের মতই সেখানে একা লড়তে হবে বিজেপিকে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১। আপাতত ৪৭ আসন নিয়ে সেখানে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। এবার বিরোধী জোট গেরুয়াকে জোর টক্কর দেবেই বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের, আর তাই যদি হয় তবে মহারাষ্ট্রের ধাঁচেই ঝাড়খণ্ডও হাতছাড়া হতে পারে বিজেপির।
এমনিতেই ভোট শুরু অনেক আগে থেকে সেখানে আসন সংখ্যা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছিল শরিকরা। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা যেভাবে পথ দেখিয়েছে সেই পথে হেঁটেই নিজেদের মতো করে ঘর গোছাতে উদ্যোগী হয়েছে বাকি এনডিএ শরিকরাও। সেই প্রেক্ষিতে ভাঙনের মুখ থেকে কি বিজেপি বেরিয়ে আসবে, নাকি মহারাষ্ট্রের মত ঝাড়খণ্ডেও পতন ঘটবে গেরুয়া শিবিরের, তা সময়ই বলবে।
এই নির্বাচনে মহাজোটে রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। কংগ্রেস লড়ছে ৩১টি আসনে। আরজেডি লড়ছে ৭ আসনে। বাকি আসনগুলি লড়ছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সি-ভোটার সমীক্ষার মতে, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ৩৩ টি আসন জিততে পারে বিজেপি, বিরোধীরা পেতে পারে ৩০ টি আসন। ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা এবং অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন পেতে পারে ৬টি করে আসন। এমনকি ভোট শতাংশের হারেও বিজেপিকে জোরদার টক্কর দিতে প্রস্তুত বিরোধী জোট। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, খুব একটা ভাল পরিস্থিতিতে নেই নরেন্দ্র মোদী সরকার।