উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হতেই দেখা গেছে, ৩ বিধানসভা কেন্দ্রেই ফুটেছে ঘাসফুল। মমতা ঝড়ে কার্যত উড়ে গেছে বিজেপি। এদিন দুপুরে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই তৃণমূল নেত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, ‘লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির দম্ভ বেড়ে গিয়েছিল। এনআরসি করে দাও, একে নাগরিকত্ব দাও ওকে দেশ থেকে বের করে দাও। যেন জমিদারি ওদের। নাগরিকত্ব দেওয়ার ওরা কে!’ অর্থাৎ মূলত এনআরসি ইস্যুতেই যে মানুষ গেরুয়া শিবিরের ওপর বীতশ্রদ্ধ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। তারপর কালিয়াগঞ্জের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকারও কার্যত স্বীকার করে নেন যে, এই ফলের জন্যে যে অনেকাংশে দায়ী এনআরসি-ই। এবার একই সুর শোনা গেল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও। এদিন তিনি কবুল করেন যে, এনআরসি যেভাবে ব্যুমেরাং হয়ে এসেছে, সেটারই মোকাবিলা করতে পারেনি বিজেপি।
প্রসঙ্গত, তিন আসনের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরে এনআরসি ছিল অন্যতম প্রধান ইস্যু। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই দুই কেন্দ্রেই প্রচারে বড় হাতিয়ার করে এই দুই ইস্যুকে। আর তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হয়েছেন বলেই মনে করছেন দিলীপ। তাঁর দাবি, ‘এনআরসি নিয়ে রাজ্যে অনেক নেগেটিভ প্রচার হয়েছে। ভোটের প্রচারেও সেটা করা হয়েছে। তার সঠিক জবাব দেওয়া যায়নি বলেই মনে হচ্ছে।’ তবে শুধু এটাই যে হারের কারণ, তা মানতে নারাজ দিলীপ। তিনি বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতাও অনেক জায়গায় ফল খারাপের পিছনে কারণ। সব কিছুই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। তার পরেই জানা যাবে প্রকৃত কী কী কারণে এমন খারাপ ফল হল। দিলীপের স্বীকারোক্তি, ‘নির্বাচনী প্রচারে কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা ছিল, সভা-সমাবেশে যে আগ্রহ দেখা গেছে তার সঙ্গে ভোটের ফল মিলছে না। গভীর বিশ্লেষণ না করলে কিছুই বলা সম্ভব নয়।’