সরকার গঠনের পরপরই বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়ে সংশয় দেখা দিল। শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারের নতুন জমানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে’র কাজ শুরু হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। শিবসেনা ও কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ওই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে কোনও আগ্রহ নেই নতুন সরকারের। কারণ, প্রকল্পের জন্য তাঁরা যথেচ্ছ বৃক্ষছেদনের বিরোধী, কারণ তাতে কৃষকের ক্ষতি হবে।
শিবসেনার তরফে মনীষা কায়ান্দে বলেছেন, ‘বুলেট ট্রেন প্রকল্পে নতুন সরকার কোনও অর্থ বরাদ্দ করবে না। প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চাইলে, কেন্দ্রীয় সরকারকেই সব ব্যয়ভার বহন করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিন্জো আবে।
শিবসেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, নানরের তেল শোধনাগারের কাজও বন্ধ করে দেওয়া হবে। কৃষকদের স্বার্থে মু্ম্বইয়ের অ্যারি এলাকায় আর কোনও গাছও কাটতে দেওয়া হবে না। এই গাছ কাটা বন্ধের বিষয়টি এ বার ছিল শিবসেনার নির্বাচনী ইস্যু।
কায়ান্দে আরও বলেছেন, ‘মুম্বই মেট্রো রেল কর্পোরেশন অবশ্য ইতিমধ্যেই ওই কাজের জন্য অনেক গাছ কেটে ফেলেছে। কিন্তু এখন আর একটি গাছও কাটতে দেওয়া হবে না। এই সবই করা হবে কৃষকদের কল্যাণে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে। উদ্ধব ঠাকরেজী ইতিমধ্যেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।’ তাঁর বক্তব্য, এ বার বন্যায় বহু একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই বুলেট ট্রেনের উপর থেকে ফোকাস সরিয়ে নতুন সরকার আপাতত অসহায় কৃষকদের নিয়েই বেশি ভাবতে চাইছে।
বুধবার একই কথা বলেছেন শিবসেনা বিধায়ক ও পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারের প্রতিমন্ত্রী দীপক কাসারকারও। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের কাছে অগ্রাধিকার কৃষকদেরই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বুলেট ট্রেনের কোনও প্রয়োজন নেই মুম্বইয়ে।’ এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাও বলেছেন, ‘‘ওই প্রকল্প এগিয়ে চললে কেন্দ্রকেই তার মূল্য চোকাতে হবে। মহারাষ্ট্রের নতুন জোট সরকার ওই প্রকল্পের জন্য কোনও ব্যয় বরাদ্দ করবে না। কারণ, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ফলে মহারাষ্ট্রের কোনও লাভ হবে না।’’