গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে নামার আগে গতকাল গোয়া এবং জামশেদপুর, দু’দলের সামনে দু’টো লক্ষ্য ছিল। ম্যাচ জিতলে জামশেদপুর ছুঁয়ে ফেলবে লিগ শীর্ষে থাকা এটিকেকে। আর গোয়ার সামনে সুযোগ ছিল হাবাসের দলকে টপকে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত আন্তোনিও ইরোন্দোই হাসি মুখে মাঠ ছাড়লেন। গোল পার্থক্যে শীর্ষে না উঠতে পারলেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন সুব্রত পাল, তিরিরা। এটিকে এবং জামশেদপুরের পয়েন্ট এখন সমান—১০। প্রতিযোগিতায় প্রথম হার গোয়ার। অপরাজিত থাকার মুকুট আর থাকল না কোরোদের। তাঁদের দল নেমে গেল চার নম্বরে।
চলতি আইএসএলে গোয়ার স্ট্রাইকার কোরামিনাস দারুণ ফর্মে রয়েছেন। চার ম্যাচে তিন গোল করে ফেলেছেন তিনি। সে জন্যই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন জামশেদপুরের স্পেনীয় কোচ ইরিন্দো। তিরি, নরেন্দ্র গেহলট, জিতেন্দ্র সিংহদের নিয়ে গড়া রক্ষণ তাই শুরু থেকেই সতর্ক ছিল গোয়ার আক্রমণ রুখতে। আর সতর্ক ছিলেন দুরন্ত ফর্মে থাকা এ বারের আইএসএলের সফল জামশেদপুরের গোলকিপার সুব্রত।
প্রথমার্ধের সতেরো মিনিটেই দলকে চাপমুক্ত করে দেন সের্খিয়ো ক্যাসেল। আতলেতিকো মাদ্রিদের ‘বি’ দলে খেলে আসা এই স্পেনীয় স্ট্রাইকারকে বল বাড়িয়ছিলেন ফারুক চৌধরি। এই গোলটাই যেন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয় শিল্পনগরীর ক্লাবকে। বিরতিতে ফল ছিল ১-০। সেটা আর বদলায়নি মূলত জামশেদপুর রক্ষণ আর সুব্রত পালের জন্য।