আজ শুরু ঐতিহাসিক ইডেন টেস্ট। খেলা উপলক্ষ্যে আজ কলকাতায় আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার এ দিনের কলকাতা সফর মূলত ইডেনে ভারত-বাংলাদেশ দিন-রাতের ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে। সেই ফাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি একান্তে বৈঠকও করবেন।
ইডেন উদ্যানে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে সকালেই শহরে আসছেন শেখ হাসিনা। ইডেনে এই খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন মমতা। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির থাকবেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকের বিষয়টি এদিন নিজেই মুর্শিদাবাদে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বরাবরই মমতার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই পারস্পরিক হৃদ্যতা দুই দেশের মৈত্রীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই নয়, বিরোধী নেত্রী থাকার সময় থেকেই তাঁদের এই সখ্য বজায় ছিল। এদিন মমতা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের মানুষ শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। দুই বাংলার সম্পর্ক আরও নিবিড় করাই আমাদের লক্ষ্য।
ঘটনাচক্রে কলকাতায় আসার পর থেকে তিন দফায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে মুজিবকন্যার। গোলাপি বলে ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধনে প্রথম মুখোমুখি হবেন মমতা ও হাসিনা। এরপরেই সেখানে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও মমতা এবং হাসিনার একসঙ্গে থাকার কথা। মমতা জানিয়েছেন, বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হবেন তিনি। সন্ধ্যা ছ’টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা। শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মমতা। এদিন দুপুরে সেই বিষয়ে ঢাকা থেকে বার্তা পাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাবিত বৈঠকের স্থান ও সময় সংবাদমাধ্যমকে জানান। বৈঠকের আলোচ্য কী, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল থাকলেও মমতা জানান, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নই তাঁদের অভিন্ন লক্ষ্য। তাঁর বিশ্বাস, এই বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী আরও জোরদার হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাসিনার মধুর সম্পর্কের উল্লেখ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সেই আন্তরিকতাকে আরও বাড়িয়ে তোলাই হাসিনার উদ্দেশ্য। তাই সৌজন্যের আবহ রেখেই দুই নেত্রী কথা বলবেন।