জয়ের সরণির রাস্তা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছেন না স্টিম্যাচের ছাত্ররা। যার ফলে আরও এক বিশ্বকাপ আসবে আর আবারও ভারত থাকবে দর্শকের ভূমিকায়। গতকাল ওমানের কাছে হারার ফলে সুনীলদের সামনে প্রায় বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বকাপের দরজা।
ওমান ম্যাচের একমাত্র গোলটি পায় ৩৩ মিনিটে। আল ঘাসানি যখন বল ধরেছিলেন, তখন তিনি অফসাইডে দাঁড়িয়ে। বিশেষজ্ঞদের সে রকমই অভিমত। কিন্তু ল্যাইন্সম্যান তা খেয়াল করেননি। অথবা এড়িয়ে গিয়েছেন। ভারতের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে অনায়াসে গোল করে যান ঘাসানি। ভারতীয় ফুটবলাররা অবশ্য প্রতিবাদের পথে হাঁটেননি। এক গোলেই হেরে ভারতের প্রাক বিশ্বকাপ অভিযান কার্যত শেষ।
টিকে থাকার জন্য দরকার ছিল জয়ের। কারণ, মঙ্গলবার আফগানিস্তানকে হারিয়ে কাতার (৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট) গ্রুপের শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে ওমান (৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)। ফলে ভারতের (৫ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট) যাবতীয় আশা শেষ হয়ে গেল মাস্কাটে। ক্রোট কোচকে সামনে রেখে মিশন ২০২২ বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল। পাঁচ ম্যাচ পরেই সেই মিশন মুখ থুবড়ে পড়ল। বিশ্বকাপ আসে আর চলে যায়। বিশ্বকাপের মুলপর্বে ভারতের খেলা শুধু স্বপ্নই থেকে যায়। বিদেশি কোচ আসে, আর যায়। দারুণ দারুণ সব কথা বলেন তাঁরা। তারপরে যে কে সেই।
ঘরের মাঠে এই ওমানের বিরুদ্ধে একসময়ে এগিয়েছিল ভারত। পরে ওমান প্রাধান্য দেখিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল। মাস্কাটে এ দিন ভারত সে ভাবে নিজেদের মেলে ধরতেই পারল না। বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ম্যাচগুলোয় দেখা যাচ্ছে, শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক নীতি অবলম্বন করছে ভারত। এ দিনও তাই হল। এত রক্ষণাত্মক নীতি নিলে কীভাবেই বা জেতা সম্ভব!
আফগানিস্তান,বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচগুলোয় পিছিয়ে পড়লেও খেলার একেবারে শেষ লগ্নে সেট পিস থেকে গোল করে ম্যাচে ফিরে এসেছে ভারত। এ দিন তাও হল না। অবশ্য ওমান আর বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান এক নয়। তাই মাস্কাট থেকে মাথা নীচু করেই ফিরতে হচ্ছে সুনীল ছেত্রীদের।