মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে আজ দিল্লীতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক ছিল এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের। বৈঠকের আগে পাওয়ার সংসদের সামনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিজেপি-শিবসেনা একসঙ্গে ভোটে লড়েছে। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়েছি। তাঁরা তাঁদের পথ বেছে নিয়েছে। আমরাও নিজেদের পথ বেছে নিয়েছি।
যদিও এরপর আজই সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনের পর দিল্লীতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ১০ জনপথ রোডের বাড়িতে যান এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। মহারাষ্ট্রে কীভাবে সরকার গড়া যায়, তা নিয়েই প্রায় ৫০ মিনিট আলোচনা করেন দু’জন। গত সপ্তাহেই পাওয়ার বলেছিলেন, শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে নতুন জোট। বিজেপির আশা সফল হবে না। জোট সরকার পুরো মেয়াদ অর্থাৎ ৫ বছরই ক্ষমতায় থাকবে।
এর মধ্যে প্রস্তাবিত অযোধ্যা সফর বাতিল করেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর দলের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার জন্যই উদ্ধব অযোধ্যায় যাচ্ছেন না। উদ্ধব অযোধ্যায় যাবেন শুনেই অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস ও এনসিপি। সনিয়া প্রথমদিকে শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ দুই দলের মতাদর্শ পরস্পরের বিপরীত। জানা গেছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি করানোর ব্যাপারে ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পাওয়ারই বড় ভূমিকা নিয়েছেন।
গত ১২ নভেম্বর সরকার গঠনের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। কারণ কোনও দল বা জোটই সরকার গড়ার দাবি জানায়নি। তবে রবিবার পুণেতে এনসিপি-র কোর কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে স্থির হয়, রাজ্যে বেশিদিন রাষ্ট্রপতি শাসন চলা ঠিক নয়। দ্রুত সরকার গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।