বাস প্রস্তুতকারক সংস্থাই এ বার সরকারি ভর্তুকি নিয়ে রাজ্যে ইলেকট্রিক বাস চালাবে। পরিষেবা দিতে গিয়ে বেসরকারি সংস্থা যাতে লোকসানের মুখোমুখি না-হয়, তার নিশ্চয়তা দেবে রাজ্য সরকার। এ জন্য বাসের টিকিট বিক্রীর ওপর পরিষেবাদানকারী বেসরকারি সংস্থাকে নির্ভর করতে হবে না। বাস চালিয়ে কিলোমিটার পিছু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ভাড়া নেবে। শর্ত একটাই গড়ে প্রতিটি বাসকে মাসে ৫ হাজার কিলোমিটার চালাতে হবে। দিতে হবে উন্নত পরিষেবাও।
বাসের কন্ডাক্টর থাকবে রাজ্যের পরিবহণ নিগমের। তারা যাত্রীদের টিকিট বিক্রী করে সরাসরি নিগমকে জমা দেবে। মাসে বাসটি কত কিলোমিটার চলেছে, তার ভিত্তিতে পরিষেবায় নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থাকে প্রতি মাসে প্রাপ্য মিটিয়ে দেবে নিগম। টিকিট বিক্রী করে যদি টাকা না-ওঠে, তা হলে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে তা মেটাবে। প্রতি কিলোমিটারের জন্য ভাড়া কত হবে, তা স্থির করতেই এই টেন্ডার। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে জরিমানার কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে টেন্ডারে।
মমতা সরকার যাত্রী পরিষেবা দিতে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থার খোঁজে টেন্ডার ডেকেছে। কোনও বেসরকারি বাস পরিষেবাদানকারী সংস্থাও এই টেন্ডারে অংশ নিতে পারে, তবে তাদের অবশ্যই একটি বাস-নির্মাতা সংস্থাকে সহযোগী হিসেবে রাখতে হবে। ওই বেসরকারি সংস্থার ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকার মূলধন থাকতে হবে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে টানা তিন বছর ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করার প্রমাণ দাখিল করতে হবে। এবং অবশ্যই অবশ্যই পাঁচ বছরে ৫০টি ইলেকট্রিক বাস বা ১০০টি ডিজেল বা সিএনজি বাস তৈরীর অভিজ্ঞতা থাকা চাই।