ভাইফোঁটার দিন বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় । মমতার কাছে ফোঁটাও নিয়েছিলেন। শোভনের সঙ্গে স্নেহশীল আচরণ করেছিলেন মমতাও। এতটা সকলেরই জানা। কিন্তু এরপরেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা এতদিনে সর্বসমক্ষে এল।
জানা গিয়েছে, মমতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে রত্নাকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়েছিলেন তাঁর স্বামী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাতে লেখা ছিল, ‘সত্যের জয় হল। আজ বৈশাখীর সম্মানের জন্য লড়ে জিতলাম তো? মিউচুয়াল ডিভোর্স দাও।’
জানা গিয়েছে, মিনিট পনেরো বাদে শোভনের সেই মেসেজ দেখে উত্তর দেন রত্না। তার পর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দু’জনের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ চলে।
কিন্তু ব্যাপারটা সেখানেই থামেনি। জানা গিয়েছে, ভাইফোঁটার পরদিনই কালীঘাটের মমতার বাড়িতে যান রত্না। তারপর মোবাইল বের করে তৃণমূলনেত্রীকে শোভনের ওইসব মেসেজ দেখান তিনি। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ওইসব মেসেজ দেখে বেজায় চটে যান মমতা। তিনি শোভনকে ফোন করেন। জানতে চান, কেন এইসব মেসেজ তিনি করেছেন রত্নাকে? যতদূর জানা গিয়েছে, শোভন মমতাকে বলেন মেসেজগুলি তিনি পাঠাননি। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের মতে, শোভনের ওই মেসেজের কারণেই তৃণমূল ও সরকারে তাঁর পুনর্বাসনের বিষয়টি আপাতত থমকে গিয়েছে। কারণ, এতে শোভনের উপর বেজায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন মমতা।