মরুর শহর রাজস্থান। তবে এই শুষ্ক শহরের একটা প্রাণ আছে। রাজস্থান ভালো থাকে উৎসবে মেতে থাকতে, আগত পর্যটকদের ভালো রাখতে। ভারতের ল্যান্ড অব ফোর্ট রাজস্থান। তবে রাজস্থানকে ল্যান্ড অব ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্টিভ্যাল বললেও ভুল বলা হবে না। শীত-গ্রীষ্ম-শ্রাবণ-বসন্তে নানা উৎসবে সেজে উঠে রাজস্থানের পুষ্কর, জয়পুর, জয়সলমের, বিকানীর।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় উটের মেলা হয় রাজস্থানের পুষ্করে। শুধু মাত্র এই মেলা দেখার জন্য প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। কার্তিক পূর্ণিমার আগে সাত দিন ধরে চলে এই মেলা। শেষ হয় পূর্ণিমার দিন।
জয়পুরে জুলাই-আগস্ট মাসে হয় তীজ উৎসব। পিঙ্ক সিটির রাস্তা ভরে ওঠে নানা রঙে। এই উৎসব আদতে শিব পার্বতীর মিলন উৎসব। এই সময় তীজ মাতাকে সাজিয়ে, গরুর গাড়িতে চেপে বিরাট মিছিল বার হয়। বিবাহিত মেয়েরা হাতে মেহেন্দি পরে, সালঙ্কারা হয়ে, সাবেক রাজস্থানি পোশাকে বা লাল শাড়ি পরে সেই উৎসবে অংশ নেন।
মকর সংকান্তিতে হয় জোধপুর ইন্টারন্যাশনাল ডেজার্ট কাইট ফেস্টিভ্যাল। এই শহরের পোলো গ্রাউন্ডে তিন দিন ধরে চলে উৎসব। ভিড় করেন দেশি-বিদেশি তাবড় তাবড় কাইট ফ্লায়াররা।
পুষ্কর ছাড়াও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে হয় নাগৌর মেলা। জোধপুর থেকে বিকানীর যাওয়ার পথে নাগৌর। দশ লক্ষের উপরে পশু বিক্রেতার জমায়েত হয় এখানে! একই সময়ে ডিপার্টমেন্ট অব টুরিজম আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট আয়োজন করে বিকানীর উট মেলার। এখানে উটের দৌড়, উটের নাচ, অ্যাক্রোব্যাটের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া উটের গায়ের লোম ছেঁটে করা ট্যাটু দেখলে অবাক হতে হয়।
তাই রাজস্থান ভালো থাকে রঙে উৎসবে। মরু শহরে এই উৎসব, পার্বনের মরুদ্যানেই জমে থাকে মানুষের ভালোবাসা, ভালো থাকা তাই এই সব উৎসবের স্বাদ গ্রহন করতে গেলে আসতে হবে এই মরু শহরে।