সম্প্রচার, সূচী-সহ নানা বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে আই লিগের ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন ফুটবল কর্তারা। নেরোকা এবং আইজল ছাড়া সব ক্লাবের প্রতিনিধি ছিলেন। ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সম্প্রচার সংস্থা ‘ডি’ স্পোর্টসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হয়েছে ম্যাচ দেখানোর জন্য। খসড়া সূচি নিয়ে কলকাতার দুই প্রধান ছাড়াও বাকি ক্লাবগুলোর কিছু ম্যাচ নিয়ে আপত্তি ছিল। তাদের প্রায় সব দাবিই মেনে নেয় আই লিগ কমিটি।
ক্লাবের শতবর্ষে আই লিগের প্রথম ম্যাচটি শর্ত সাপেক্ষে ইস্ট বেঙ্গল মাঠে করার অনুমতি দিল আই লিগ কমিটি। আগামী ৩ ডিসেম্বর রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে আই লিগের প্রথম ম্যাচটি খেলবে আলেজান্দ্রো-ব্রিগেড। তবে লিগ কমিটিও ইস্ট বেঙ্গল মাঠে ম্যাচ করার জন্য কিছু শর্ত দিয়েছে। যেমন, দুই দলের ড্রেসিং-রুম মুখোমুখি হওয়া চলবে না। বের হওয়ার সময়ে একটি জায়গায় করতে হবে মিক্সড জোন। তাছাড়া রেফারিজ রুম, ম্যাচ কমিশনার্স রুমের পাশাপাশি ডোপ টেস্টের জন্য আলাদা ঘর রাখতে হবে। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত দিল্লি থেকে বললেন,‘ইস্ট বেঙ্গলে মাঠে যা পরিকাঠামো আছে তাতে এই শর্তগুলি পূরণ করতে পারবে বলেই আশা করছি।
আই লিগের মিটিংয়ের পর দেখা যাচ্ছে, তিনটি বাদে সব ম্যাচই কল্যাণীতে হতে চলেছে। সল্টলেক স্টেডিয়ামের অধিক ভাড়া ও জেনারেটর ভাড়া করার খরচের জন্যই কল্যাণীতে যেতে হল দুই প্রধানকে। ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচটি এবং হোম ডার্বি ছাড়া বাকি সব ম্যাচ খেলবে কল্যাণীতেই। ইস্ট বেঙ্গলের হোম ডার্বি হবে সল্টলেক স্টেডিয়ামেই। এদিকে, হোম ডার্বি ছাড়া আই লিগে মোহন বাগানের সব ম্যাচ হবে কল্যাণীতে। সবুজ-মেরুনের দাবি মেনে সব ম্যাচ পাঁচটায় করা হচ্ছে।
কলকাতার দুই প্রধানের প্রতিনিধিরা সভায় জানিয়ে দেন, ডার্বি ছাড়া ঘরের মাঠের বাকি সব ম্যাচই খেলবেন কল্যাণীতে। ফলে আই লিগের ইতিহাসে প্রথম বার ময়দান বা যুবভারতীর বাইরে গিয়ে লিগের সব ম্যাচ খেলবে দুই প্রধান। মাঠ বদলাচ্ছে ফেডারেশনের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ এবং মিনার্ভা এফসি-র (বর্তমানে পঞ্জাব এফসি)। অ্যারোজ খেলবে গোয়ার তিলক ময়দানে, পঞ্জাব লুধিয়ানায়। রিয়াল কাশ্মীর তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীনগরে। সব ক্লাবই কাশ্মীরে খেলতে যেতে রাজি হয়েছে।
৩০ নভেম্বর আই লিগ উদ্বোধনের দিন মোহনবাগান খেলবে আইজলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ ৩ ডিসেম্বর রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি নিজেদের মাঠে খেলতে চাইছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু এ দিন সেই ইচ্ছায় সিলমোহর পড়েনি। ময়দানে ইস্টবেঙ্গল মাঠে আরও কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলেছে ফেডারেশন।