রাজনীতির ময়দানে লড়াই থাকলেও সৌজন্যরক্ষা করতে ভোলে না তৃণমূল। এবারেও ঘটল সেই ঘটনা। ‘দিদিকে বলো’র প্রচার কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে বাম বিধায়কের বাড়ি গেলেন তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের এই সৌজন্যের রাজনীতিকে বাহবা জানিয়েছেন সকলে।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর আওতায় এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তাঁর বাড়িতে আসবেন শুনে টেলিফোনে স্বাগত জানিয়েছিলেন সিপিএমের বিধায়ক। মঙ্গলবার তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে আসছে। সিপিএম বিধায়ক শেখ ইব্রাহিম আলির বৈঠকখানায় সৌজন্যের খাতিরদারি। অতিথির আপ্যায়নে ফল-মিষ্টির আয়োজন রেখেছিলেন ইব্রাহিম। পাঁশকুড়া পূর্বের সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিমের বাড়িতে এলেন পাশের কেন্দ্র পাঁশকুড়া পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বিবি। নন্দীগ্রামের শহিদ-জননী। ইব্রাহিম কিন্তু ফিরোজার কেন্দ্রেরই ভোটার। ‘দিদিকে বলো’ ফিরোজাকে কাজ দিয়েছিল, ভোটার ইব্রাহিমের বাড়ি গিয়ে শুনতে হবে তাঁর মতামতও। তাই জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ইব্রাহিমের বাড়িতে ৪৫ মিনিট সময় কাটিয়ে দলের জন্য রিপোর্ট তৈরি করছেন ফিরোজা বিবি।
উন্নয়ন সংক্রান্ত একাধিক দাবি বিধায়ক ফিরোজাকে জানিয়েছেন ইব্রাহিম। ‘দিদিকে বলো’ পর্বে এ যাবৎ তৃণমূলের বহু জনপ্রতিনিধি অন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে জনসংযোগে ‘দায়িত্ব’ পালন করেছেন। যেখানে রাজনীতি বেশ চড়া দাগের, সেখানে ‘কুণ্ঠিত’ বোধ করেছেন অনেকেই। কিন্তু ‘দিদিকে বলো’-র মাধ্যমে দলের নেতাদের এই জড়তাটাই কাটাতে চেয়েছিল তৃণমূল। প্রতিপক্ষের অন্দরমহলে ঢুকে তাঁদের কথা শোনার মানসিক প্রস্তুতিও জনপ্রতিনিধিদের রাখতে হবে এমনটাই নির্দেশ দলের। ইব্রাহিম-ফিরোজার মোলাকাত পর্বেও উঠেছে এমন কিছু বিষয়।