বুলবুলের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকার। আর তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি এক ও দুই ব্লক, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক ও বসিরহাট এক নম্বর ব্লকে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ঝড়ের তাণ্ডবে শুধু বসিরহাট মহকুমাতেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩জন ও মেদনিপুরে ১ জন নিয়ে মোট ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বুলবুলে। আর তার সঙ্গে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ধান ও পানের বরজের। এই পরিস্থিতিতে জেলা সফর ছেড়ে দফায় দফায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, নোংরা রাজনীতি ত্যাগ করে, মানুষের পাশে দাঁড়ান। দল নির্বিশেষে সব মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিন। এখন প্রায় ৫ থেকে ৬ ব্লক জলের তলায়, বলে এদিন জানান মমতা।
এদিন ফের একবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর-এর নাম না করে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো না মেনে একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী’। সংবিধান মেনে এদিন কাজ না করারও অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নাম না করে তোলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সংবিধান অমান্য করে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রের যেমন আলাদা আস্তিত্ব রয়েছে, একই ভাবে সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্য সরকারকেও স্বাধীন ভাবে কাজ করার জায়গা দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তাতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চলছে।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বুলবুলের জেরে রাজ্যের প্রায় ৬৪০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও কেন্দ্রের করের বোঝা। ৫০ হাজার কোটি টাকা করের বোঝা নিয়েও বুলবুলের মোকাবিলায় রাজ্যে যথা সাধ্য চেষ্টা করেছে।’ মমতা স্পষ্ট বলেন, ‘সাংবিধান মেনে কেন্দ্রীয় দল এসে পরিস্থিতি দেখে যাক।’