ইদানীং শিক্ষাঙ্গনে মূর্তি ভাঙা নিয়ে দেশ, রাজনীতি উত্তাল। এবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙা নিয়ে তুঙ্গে উঠল চাপানউতোর। কিন্তু কারা মূর্তি ভেঙেছে সে বিষয়ে রয়ে গেছে ধন্দ। পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। শুধু মুর্তি ভাঙা নয়, ভাঙা মূর্তির নীচে লেখা আছে বেশ কিছু আপত্তিকর কথাও।
কিন্তু বার বার কেন বাঙালির ভাবাবেগেই আঘাত হানা হচ্ছে, একের পর এক বাঙালি মনীষীদের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। রাজনীতির নানা আঙ্গিকে সেগুলোকে নানা রকম ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে যে সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আঘাত হানা হচ্ছে সেটা কোনো রাজনৈতিক দল বুঝতে পারছে না। মানুষ মনে করছে, বাম ঘাটিতে এমন একটা ঘটনা, আবার কি ফিরিয়ে আনছে সত্তরের নকশাল আমল!
ছাত্র-ছাত্রীদের বিরামহীন আন্দোলনের মুখে যদিও ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। তবুও বিক্ষোভ কমতে দেখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত ড্রেস কোড বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই যত ক্ষোভ। তবে এই সবের মধ্যে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙা নতুন করে শোরগোল ফেলেছে। মূর্তির নীচে গেরুয়াকরণ রোখার বার্তা দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে তাঁর চিন্তাধারার ফারাক কতটা ছিল, সেই সম্পর্কে হয়তো অন্ধকারে এই কাজের মূল কাণ্ডারিরা।
সংবাদসংস্থা এএনআই মূর্তির কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে বিবেকানন্দের মূর্তি। ক্যাম্পাসের ভিতরে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর করায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।