ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন অতীত। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে শহর কলকাতা ও শরহরতলি। কিন্তু বিভিন্ন বিধ্বস্ত এলাকায় বুলবুলের ধ্বংস লীলার তাণ্ডবের ছাপ এখনও স্পষ্ট। বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ি-ঘর ভেঙেছে অনেক গরীব পরিবারের। ফলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে স্বজন হারানোর পাশাপাশি ভিটেমাটি হারানোর ব্যথা এখনও দগদগে। রবিবার বুলবুলের তাণ্ডবলীলা চালানোর পরে সোমবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুলবুলের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারকে দু’ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জানা গেল বুলবুলে বিধ্বস্ত এলাকাগুলির ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল বার্ষিক পরীক্ষা।
জানা গেছে, ডিসেম্বরেই বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পরীক্ষার মুখোমুখি এমন ঝড়ে সব তছনছ হয়ে যাওয়াতেই পরীক্ষা পিছনোর সিন্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ২৬ নভেম্বর থেকে স্কুলের প্রস্তাবিত পরীক্ষাগুলির দিন পিছিয়ে দেওয়া হবে। পিছিয়ে দেওয়া হবে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার নির্ধারিত দিনও। সরকারি সূত্রে খবর, পরীক্ষার দিন ফেলা হতে পারে ২ ডিসেম্বর থেকে।
আজ শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়া ও তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুলবুলের প্রভাবে যে সমস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি, সেখানকার সমস্ত স্কুলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে।