সম্প্রতি ছাত্রভোটের বিষয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। আর তার পরেই পুরনো পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের জন্যে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ছাত্রভোট হচ্ছে। যার ফলে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসএফআই এবং আইসি-র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ কার দখলে থাকবে, তা নিয়েও উন্মাদনা রয়েছে ক্যাম্পাস চত্বরে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য পাল্লা ভারী বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর দিকেই।
ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর) পদের নির্বাচনে ৫৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এসএফআই। আইসি এগিয়ে ৫০ আসনে। শেষ পর্যন্ত যদি এসএফআই জিতে যায়, তা হলে তারা দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রেসিডেন্সি নিজেদের দখলে নেবে। তবে দু’টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে চমক দিয়েছে এআইএসএফ। মাত্র কয়েক মাস আগে তারা প্রেসিডেন্সিতে সংগঠন গড়ে ছাত্র ভোটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বার আত্মপ্রকাশেই তারা দু’টি আসনে জয়ী হয়েছে। তাতে খুশি সংগঠনের সদস্যরা।
এ দিন প্রেসিডেন্সিতে ভোট শুরু হয়েছে বেলা ১১টার পর। যার পর থেকেই প্রেসিডেন্সির মূল গেট বন্ধ রাখা হয়। বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আপাতত চলছে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। তবে অশান্তির আশঙ্কায় প্রেসিডেন্সির বাইরে রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল প্যানেলের সভাপতি, সহ সভাপতি, জিএস, এজিএস— এই সব পদেই এগিয়ে রয়েছেন এসএফআই প্রার্থীরা। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, “এটা গণতন্ত্রণের জয়। আমারা যে ছাত্রছাত্রীদের পাশে রয়েছি, এই ফল দেখে তা বোঝা যাচ্ছে। আমাদের আশা, ভবিষ্যতেও পড়ুয়াদের অধিকারের জন্যে এভাবেই লড়াই চালাব।”