মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সময় ছিল সরকার গঠনের। এই সময়ের মধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানাতে হত এনসিপিকে। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক বাকি থাকতেই মহারাষ্ট্রে জারি হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। সব পক্ষকে সুযোগ না দিয়ে সাত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্তের জন্য ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা। তবে এতকিছুর পরও কিন্তু মহারাষ্ট্রের মহাজট কাটার কোনও নামই নেই। এখনও যা পরিস্থিতি তাতে আগামী কিছুদিনেও এর কোনও সুরাহা হবে না বলে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্গে মনোমালিন্যতার জেরে তাদের সঙ্গে জোট ভেঙেছে শিবসেনা, কিন্তু কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়ার আর্জি নাকচ করে ২৪ ঘণ্টা দিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই মহারাষ্ট্রে জারি হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। এই নিয়ে সেনা-বিজেপি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ হচ্ছেই না। প্রথম থেকেই মহারাষ্ট্রের এই পরিস্থিতির জন্য শিবসেনাকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। পাল্টা দিয়েছে শিবসেনাও। তাদের অভিযোগ, রাজ্যপাল খোদ বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। আর রাজ্যে যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে সেটাও বিজেপির চিত্রনাট্য!
শিবসেনার কথায়, তাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলে তারা সরকার গঠনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যেত। কিন্তু এখন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে সব দলকে ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, এটা বিজেপিরই চাল। গোটা ঘটনায় দেবেন্দ্র ফডনবিশকেও আক্রমণ শানিয়েছে শিবসেনা। তাদের কটাক্ষ, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ‘কুমিরের কান্না’ কাঁদছেন ফডনবিশ! তিনি স্পষ্ট জানেন যে, এর পিছনে তাঁর দলই রয়েছে। মুখপত্র সামনাতে শিবসেনা আরও দাবি করেছে, এক অদৃশ্য শক্তি মহারাষ্ট্র বিষয়ক সমস্ত সিদ্ধান্ত কন্ট্রোল করছে। তাদের কথা শুনেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করেই যে এই মন্তব্য করেছে শিবসেনা, তা বলাই বাহুল্য।