আজ ইন্দোরে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে খেল দেখিয়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা, সেই আগুনে পারফরম্যান্স বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেও বজায় রাখলেন উমেশ, শামি, ইশান্তরা। ভারতের বোলারদের দাপটে হোলকার স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলার শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হল ১৫০ রানে। মাত্র ৫৮.৩ ওভার টিকল তাদের ইনিংস। চায়ের বিরতিতে সাত উইকেটে ১৪০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাত্র ১০ রান তুলতেই বাকি তিন উইকেট হারাল তারা। কার্যত, বাংলাদেশের শেষ পাঁচ উইকেট পড়ল ১০ রানে!
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্টের দল থেকে এদিন একটিই পরিবর্তন করেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। নাদিমের জায়গায় ফের প্রথম একাদশে ফেরেন ইশান্ত শর্মা। ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভাঙাচোরা বাংলাদেশ। আর এইটাই যেন চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
টস জিতে মোমিনুল বলেছিলেন, “হার্ড পিচ। তাই প্রথমে ব্যাটিং করছি। চতুর্থ ইনিংসে ভাঙতে পারে উইকেট। আমরা সাত ব্যাটসম্যান ও চার বোলারে খেলছি।” আর কোহালি বলেছিলেন, “উইকেটে ঘাস রয়েছে। ঐতিহাসিক ভাবে ইনদওরের উইকেটে প্রথম দিন বোলারদের জন্য সাহায্য থাকে। আমরা তাই বোলিং করতাম। তিনজন পেসারে খেলছি। তাদের জন্য এটা আদর্শ। ওরা সেরা ফর্মেও রয়েছে।”
শুরু থেকেই বল হাতে আগুন ঝরাতে শুরু করেন ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব। দলের ১২ রানের মাথায় উমেশের শিকার হন ইমরুল কায়েস (৬)। পরের ওভারেই ফিরে যান শাদমান ইসলামও (৬)। তাঁকে ফেরান ইশান্ত। দুই ভারতীয় পেসারেই যখন নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় বাংলাদেশের, তখন আবার শামিকে ‘লেলিয়ে’ দেন কোহলি। শামি এসেই সাজঘরে ফেরান মহম্মদ মিঠুনকে (১৩)। তবে চতুর্থ উইকেটে কিছুটা হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম (৪৩) ও মমিনুল হক (৩৭)।
যদিও ৩৮তম ওভারে অশ্বিনের নিরীহ একটি বল অদ্ভুতভাবে লিভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মমিনুল। আর এরপরেই বাংলাদেশীদের সাজঘরে ফেরার গতি আরও তরান্বিত হয়।