ভারতীয় টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক হলেও ওয়ান ডে দলে জায়গা করতে পারছেন না অজিঙ্ক রাহানে। অথচ এক সময় ভারতের হয়ে ওয়ান ডে-তে ওপেন করা থেকে শুরু করে চার নম্বরেও ব্যাট করেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তাঁর। শেষ ওয়ান ডে খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে। রাহানের এখন লক্ষ্য ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ওয়ান ডে দলে প্রত্যাবর্তন।
রাহানে বলেন, ‘‘টেস্ট ম্যাচগুলোয় ধারাবাহিক পারফর্ম করাই আমার লক্ষ্য। প্রত্যেক ম্যাচে রান পেতে শুরু করলে আশা করি, ওয়ান ডে দলেও ফের সুযোগ আসবে। নিজের উপরে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে যা একেবারেই সম্ভব নয়।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘বরাবরই বর্তমানে বিশ্বাস করি। আমার পারফরম্যান্সে যদি দল উপকৃত হয়, তা হলে অবশ্যই ওয়ান ডে দলে জায়গা ফিরে পাব।’’
অনেকেই বলেন, রাহুল দ্রাবিড়ের মেজাজ খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপে তিনি অন্যতম স্তম্ভ। সেই অজিঙ্কা রাহানে এখন ব্যস্ত বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল দ্রাবিড়ের সামনে গোলাপি বলে তিনি ছাড়াও অনুশীলন সারলেন চেতেশ্বর পূজারা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামিরা। আগামী ২২-২৬ নভেম্বর কলকাতার ইডেন উদ্যানে আয়োজিত হবে ‘গোলাপি টেস্ট’। তারজন্যই নতুন বলে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
দলীপ ট্রফিতে গোলাপি বল ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু স্পিনারদের অভিযোগ, এই বলে তাঁদের হাত ঘোরাতে সমস্যা হচ্ছে। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে রাহানে বলেন, ‘আমার মনে হয়, কোকাবুরা গোলাপি বলে দলীপ ট্রফির ম্যাচগুলি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে খেলতে হবে এসজি গোলাপি বলে। দু’টি বলের মধ্যে নিশ্চয় পার্থক্য রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন চলাকালীন আমি স্পিনারদেরও মোকাবিলা করেছি। বল তো ভালোই ঘুরছিল। অনেকের কাছেই আমি শুনেছি, কোকাবুরা বলে খেলা সহজ। এখানে এসজি গোলাপি বল খেলে দেখলাম, পেসাররা অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাবে। স্পিনারদের এই বল কতটা সাহায্য করবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আরও কয়েকটি প্র্যাকটিস সেশন হলে কিছুটা ধারণা করা যাবে। আর ব্যাটসম্যান হিসেবে বলছি, গোলাপি বলে খেলার জন্য সবচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতার। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী টেকনিকে অদলবদল ঘটাতে তো হবেই। আশা করি, ইডেন টেস্টের আগে কলকাতায় দু’টি প্র্যাকটিস সেশন নিশ্চয়ই পাব। তাহলেই সবাই নতুন বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।