আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুসানবেতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার দুবাইয়ে পৌঁছাল ভারতীয় ফুটবল টিম। রাতে স্টিম্যাচ-ব্রিগেড উড়ে গিয়েছেন তাজাকিস্তানের রাজধানীতে। দেশের অশান্ত রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য আফগানিস্তান বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচগুলি সেখানেই খেলছে। ইদানীং আফগান ফুটবলাররা দেশে থাকেন খুব কম সময়। পেশার তাগিদে তাঁরা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন। আফগান ফুটবল সংস্থাও বিদেশে জাতীয় টিমের প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করেছে। আসলে আফগান ক্রিকেট দলের মতোই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে ফুটবল টিমও। উল্লেখ্য, অতীতে আফগান ক্রিকেটারদের জাতীয় ক্যাম্প ভারতে হয়েছে।
আফগানিস্তান ও ওমানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে তিনটি জিনিস দলের ফুটবলারদের জন্য চাইছেন সুনীল ছেত্রী। ভারত অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘ম্যাচে শুধু গোলের সুযোগ তৈরি করলেই চলবে না। তা থেকে গোলও করতে হবে।’’ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে তাজাকিস্তানের দুসানবেতে গিয়েছে ইগর স্টিম্যাচের ভারত। ১৪ নভেম্বর ভারতের খেলা আফগানিস্তানের সঙ্গে। ১৯ তারিখ প্রীতম কোটালদের খেলা ওমানে।
স্টিম্যাচ জানিয়েছেন,‘ দুসানবের আবহাওয়া নিয়ে আমি চিন্তিত। এই সময় ওখানে তাপমাত্রা প্রায় দুই-তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে যায়। তাছাড়া ওখানে খেলা হবে কৃত্রিম টার্ফে। আমাদের ফুটবলাররা এই সারফেসে খেলতে সমস্যায় পড়ে। আফগানিস্তান নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে তাজিকিস্তানকে বেছে নেওয়ায় আমাদের সমস্যা বেড়েছে। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমরা ৫১০টি পাস খেলেছি। প্রতিপক্ষের তুলনায় যা অনেক বেশি। কিন্তু ওরা রক্ষণে লোক বাড়িয়ে রাখায় আমাদের সমস্যা হয়েছিল। জানি না, আফগানরা একইরকম স্ট্র্যাটেজি নেবে কিনা? তবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া আর কিছুই আমরা ভাবছি না।’ আবহাওয়াজনিত প্রতিবন্ধকতার কথা মেনে নিয়েও শুভাশিস বসু ও আনাস জানিয়েছেন,‘ সন্দেশ ঝিংগানের অনুপস্থিতি ঢেকে দিতে আমরা তৈরি। বাংলাদেশ ম্যাচে আমরা দেখিয়েছি কীভাবে রক্ষণ জমাট রাখতে হয়।’
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য পরপর গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ম্যাচ। তিন ম্যাচ থেকে দু’পয়েন্ট নিয়ে এখনও পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা জাগিয়ে রেখেছেন সুনীলেরা। গ্রুপে চার নম্বরে রয়েছে ভারত। ইগর বলছেন, ‘‘আফগানিস্তান ম্যাচ জিতলে তবেই ওমান ম্যাচের গুরুত্ব থাকবে। অথচ আমাদের সেই ম্যাচ খেলতে হবে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। যে মাঠে আমাদের ছেলেদের প্রায় কেউই খেলতে এখন অভ্যস্ত নয়। কাজটা কঠিন।’’
ওমানের কাছে হেরেছিল ভারত। তারপর কাতারের সঙ্গে ড্র হয় ম্যাচ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ঘরের মাঠে জিততে পারেননি আশিক কুরুনিয়ানরা। আবার আফগানিস্তানের অস্থির পরিস্থিতির জন্য ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাজিকিস্তানে। তাতে যে ভারতের ক্রোয়েশীয় কোচ খুশি নন, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, ‘‘সূচীটা এমন ভাবে হয়েছে এবং দলের বিমান সূচী যা আছে তাতে ম্যাচের আগের দিন খেলার জায়গায় পৌঁছব আমরা। পেশাদার কোনও দলের পক্ষে অবশ্য সব চ্যালেঞ্জই নিতে হয়। ফেডারেশন চেষ্টা করছে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব সামাল দেওয়ার, দেখা যাক কী হয়।’’