মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে তত্পরতা বাড়ালেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে তিনি মুম্বইয়ে পাঠিয়েছে দলের তিন প্রতিনিধিকে। পাশাপাশি তিনি নিজে এনসিপি প্রধানকে ফোন করেও কথা বলেন। অপরদিকে, তাদের সরকার গঠনের জন্য বাড়তি সময় না-দেওয়ায় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিব সেনা।
এখনও ঝুলে রয়েছে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া। দফায় দফায় চূড়ান্ত নাটকের পরও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় পরিস্থিতি যাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে না-গড়ায়, তা নিশ্চিত করতে এ বার আসরে নামলেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি এ দিন শারদ পাওয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলে শিব সেনার সঙ্গে জোটপ্রক্রিয়া নিয়ে তত্পর হওয়ার কথা বলেছেন বলে বিশেষ সূত্রে খবর। সমঝোতা চূড়ান্ত করতে তিনি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছেন মুম্বইয়ে। সেই দলে রয়েছেন কংগ্রেসে শীর্ষ তিন নেতা আহমেদ পটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কেসি বেণুগোপাল।
এদিকে, সরকার গড়ার জন্য রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারি তাদের বাড়তি সময় না-দেওয়ায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিবসেনা। সোমবার সন্ধেয় মুম্বইতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শিবসেনা৷ কিন্তু তাদের হাতে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল না৷ এই পরিস্থিতিতে তাদের আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক, রাজ্যপাল কোশিয়ারির কাছে এই আর্জি জানায় উদ্ধব ঠাকরের দল। কিন্তু তাদের এই দাবি খারিজ করে রাজ্যপাল রাতের দিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এনসিপি-কে৷ এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেনার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা কপিল সিবাল। কংগ্রেসের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে সিবাল কোনও মন্তব্য করেননি।
শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৬, এনসিপির ৫৪৷ এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা ও কংগ্রেসের সমর্থন না পেলে শরদ পাওয়ারের দলও সরকার গঠন করতে পারবে না৷ যেমন পারেনি শিবসেনা৷ সোমবার সারাদিন চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে৷ তিনি ফোনে কথা বলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে৷ তার পরেও তাদের হাতে আসেনি সংখ্যালঘু তকমা ঘোচানোর ‘জিয়নকাঠি’ কংগ্রেস ও এনসিপির সমর্থনের চিঠি৷