ডেডলাইন সাড়ে ৮টা৷ এর মধ্যে কোনও দল মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি না জানালে রাজভবন রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করবে৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতি শাসনের অনুমোদন দিয়েছে৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷
গত মাসে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে মহারাষ্ট্রে৷ কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি৷ একক বৃহত্তম দল হিসেবে প্রথমে বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ পরে শরিক শিবসেনার সঙ্গে তাদের ঝামেলা তুঙ্গে ওঠে৷ এরপর বিজেপি জানিয়ে দেয়, তারা সরকার গড়বে না৷ তখন শিবসেনাকে সরকার গড়ার জন্য ডাকেন রাজ্যপাল৷ তারা এখনও প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে উঠতে পারেনি৷ এদিকে রাজভবন সন্ধে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে৷ এর মধ্যে কোনও দল না এগোলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন অনিবার্য হয়ে উঠবে৷
মহারাষ্ট্রের জটিলতা নিয়ে এদিন দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠক হয়৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে৷ এই বৈঠকের পরেই প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিল চলে যান৷ ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিও রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন৷ সরকার গঠন নিয়ে শিবসেনা জোর তৎপরতা চালাচ্ছে৷ এদিকে কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা মুম্বইয়ে গেছেন পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করতে৷
এনসিপি বিধায়করা আগেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন৷ দলের প্রধান শরদ পাওয়ার বিকেল ৫টায় এই নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন৷ সিনিয়র কংগ্রেস নেতারাও এখন মুম্বইয়ে৷ এনসিপি নেতা নওয়াব মালিক বলেন, পাওয়ার সাহিব দেখা করবেন বেনুগোপাল, খাড়গে ও আহমেদ পাটিলের সঙ্গে৷ তারপর দলের মত জানাবেন পাওয়ার৷ ২৪ অক্টোবর থেকে মহারাষ্ট্রে অচলাবস্থা শুরু৷ বিজেপি পেয়েছে ১০৫, ৫৬ শিবসেনা, ৫৪ এনসিপি, ৪৪ কংগ্রেস৷ মহারাষ্ট্র বিধানসভা ২৮৮ আসন বিশিষ্ট৷ ম্যাজিক ফিগার ১৪৫৷ কেউ ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি৷ সংখ্যার গেরোয় যে জট পাকিয়েছে, তা আপাতত কাটার কোনও লক্ষণ নেই৷