নভেম্বর মাস মধ্যগগনের দিকে অগ্রসর করছে। সময় হয়ে গেছে শীতের আমেজের। সেই আমেজই জাঁকিয়ে বসবে এবার। বুলবুলের প্রভাবেই ঘটবে এহেন অবস্থা এমনই জানাচ্ছেন আবহাওয়ার অফিসের বিজ্ঞানীরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বুলবুলের প্রভাব কাটার দিন দুয়েক পর থেকে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের রাতের তাপমাত্রার পতন হতে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই শীত থিতু হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। তা হলে কি এ বার আগেভাগে শীত পড়বে?
বুলবুলের পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রার পতন হলেও তা শীতকে থিতু করবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। তাঁদের অনেকের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীরে তুষারপাত হচ্ছে। কিন্তু বুলবুলের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে জোলো হাওয়া ঢুকছে এবং সেই হাওয়া উত্তুরে বাতাসকে বাংলায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে বুলবুলের প্রভাব কাটলেই বাধাহীন ভাবে ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসতে পারে বাংলার দিকে। তাতেই পারদ পতন হবে।
কিন্তু সেই প্রভাব সাময়িক হবে। সাধারণত, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রিতে থিতু না-হলে কলকাতায় শীত পড়ার ঘোষণা করে না হাওয়া অফিস।
সেই তাপমাত্রার পতনও ধাপে ধাপে হয়। তাই উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে ঝুপ করে কিছুটা পারদ পতন হলেও তাকে শীত বলতে নারাজ আবহবিদেরা।