বরোদাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে মেয়েদের সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ট্রফির ফাইনালে উঠল বাংলার মেয়েরা। প্রতিযোগিতায় দুরন্ত ফর্মে আছেন বাংলার মেয়েরা। এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচেই জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। রবিবার ফাইনালে বাংলার মেয়েরা মুখোমুখি হবে রেলওয়েজের।
ফাইনালে রেল টিমের হয়ে খেলতে পারেন মিতালি রাজ। সেই ম্যাচে বাংলা চাইছে ঝুলনকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ খেলে দেশে ফিরছেন ঝুলন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বাংলা টিমেও পরবর্তী প্রজন্মকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য টি-টোয়েন্টি সে ভাবে খেলেন না। কিন্তু ফাইনালে ঝুলনকে বিশেষ সম্মান জানাতে চায় বাংলা। বিজয়ওয়াড়া থেকে ফোনে বাংলা টিমের কোচ শিবশঙ্কর পাল বললেন, ‘ঝুলনের মতো ক্রিকেটার যে কোন সময়ই টিমের সম্পদ। তা ছাড়া ও যদি আর কখনও টি-টোয়েন্টি না-ই খেলে, আমরা চাই ফাইনালটা খেলে সেটাকে বিদায় জানাক ঝুলন। সেটা ওঁর মতো ক্রিকেটারকে সম্মানও জানানো হবে, আবার অনেক জুনিয়র মেয়ে তাঁদের আদর্শ ঝুলন গোস্বামীর সঙ্গে খেলতেও পারবে।’ সিএবি থেকে ঝুলনকে ফাইনাল খেলার জন্য বলা হয়েছে।
বাংলার মেয়েদের কোচ শিবশঙ্কর পাল বলেছেন, ‘‘আমাদের মেয়েরা সিনিয়র টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পারায় দারুণ লাগছে। গোটা প্রতিযোগিতাতেই দুরন্ত খেলেছে দলের মেয়েরা। আমরা অনেক তরুণ খেলোয়াড়কেও সুযোগ দিয়েছি। সব মিলিয়ে সাত জন মেয়ের অভিষেক হয়েছে এ বছর। অর্থাৎ যে পরিকল্পনা নিয়ে দলটা গড়া হয়েছিল, সে দিক থেকে আমরা সফল।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘শৃঙ্খলা এবং দারুণ বোঝাপড়াই আমাদের দলের শক্তি। দলের মেয়েদের আমি বলে দিয়েছিলাম, খোলা মনে খেলতে। মাথায় কিছু না রেখে নিজের খেলাটা খেলতে। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারই ফিট। কারও কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। যাতে এটা বোঝা যায় সাপোর্ট স্টাফ কতটা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।’’
গতকাল সেমিফাইনালে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে বরোদা তোলে ৮৮-৯। মিতা পাল (২-১৭), গৌহর সুলতানা (২-২১), রুমেলি ধর (১-১৪), প্রতিভা রানা (১-৭) ভালো বোলিং করেছেন। ব্যাট হাতে সফল পারমিতা রায় (২৬), মন্দিরা মহাপাত্র (২৭)। ১৮.৪ ওভারে বাংলার স্কোর ৯২-৪।গত বার ওয়ান ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘ দিন দ্বিতীয় রাউন্ডেই উঠতে পারেনি বাংলা। যদিও সাফল্যের ভাগ কেউ একা নিতে নারাজ। টিম গেম আর ফিটনেসেই সাফল্য। সহকারী কোচ চরণজিৎ সিং থেকে ট্রেনার রাহুল দেব, ফিজিও মিনাক্ষী নেগি বা ম্যাসিওর টগরিকা চট্টোপ্যাধায়দের অবদান রয়েছে বাংলার প্রমীলা বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।