হাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী শক্তি বাড়িয়ে উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে বুলবুল৷ সন্ধ্যের পর সাগরের তীরবর্তী এলাকায় ধেয়ে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। সুন্দরবনের বাসিন্দাদের কাছে এখনো টাটকা আয়লার স্মৃতি। আর এবার বুলবুল। তাই নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার চেষ্টা করছে সেখানকার মানুষ। প্রশাসনের তৎপরতায় স্থানীয় স্কুল-সহ সরকারি অফিসের পাশাপাশি আশ্রয় শিবিরে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ঝড় মোকাবিলায় তৈরি আছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম তৎপরতা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলোতে মাইকিং-এর মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন-সহ কাকদ্বীপ, সাগরের মানুষকে নিরাপদে রাখতে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। খোদ জেলাশাসক পি উলগানাথান সাগরের পরিস্থিতি নজরে রাখতে সাগরে ছুটে গিয়েছেন।
বকখালি থেকে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেরকম ভাবে দীঘাতেও পর্যটকদের নিরাপদে থাকার কথা বলা হচ্ছে। শুক্রবার রাতেই সুন্দরবন পুলিশ জেলার গঙ্গাসাগর উপকূল থানার পুলিশ গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুয়াখালি ও মহিষামারি এলাকা ও নরেন্দ্রপুর নারায়ণী আবাদ-সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪০০ জনকে উপকূল থেকে সরিয়ে বিভিন্ন স্কুলে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে।