নয় নয় করে দীর্ঘ ১৩৪ বছরের আইনি লড়াই। অবশেষে এক শতকের বেশি সময় ধরে চলে আসা আইনি মামলায় যবনিকা টেনে আজ অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বিতর্কিত জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাসকে। ওই বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর বিকল্প পাঁচ একর জমি মুসলিমদের পক্ষের ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার রায়কে স্বাগত জানাল কংগ্রেস।
আজ রায়ব ঘোষণার পরে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন,সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ”ভগবান শ্রী রামের মন্দির নির্মাণের পক্ষে কংগ্রেস। রায়ের ফলে মন্দির তৈরির দরজা খুলে গেল। শুধু তাই নয়, বিজেপির রাজনীতিও বন্ধ হয়ে গেল।”
এর কিছু ক্ষণের মধ্যে টুইট করে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দেন রাহুল গান্ধী। লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা ইস্যুতে রায় ঘোষণা করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমাদের সকলকে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। এই সময় আমাদের সকল ভারতীয়দের কাছে ভ্রাতৃত্ব, বিশ্বাস এবং ভালবাসার সময়।’
টুইট করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তিনি লেখেন, “ সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা নিয়ে রায় দিয়েছে। সব দল, সম্প্রদায় এবং নাগরিকের এই রায়কে সম্মান জানানো উচিৎ। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আমাদের এক হয়ে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে”।
শীর্ষ আদালত রায়ে বলেছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে মন্দির তৈরি হবে। বিকল্প পাঁচ একর জমি পাবে মুসলিমদের পক্ষের ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’। এই মামলারই অন্যতম পক্ষ নির্মোহী আখড়া। আখড়ার তরফে সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। কিন্তু, এই রায়ে খুশি নয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তাদের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি বলেন, ‘‘আমরা রায়কে সম্মান জানাই। কিন্তু, এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করব।’’ তবে এ নিয়ে তাঁরা যে কোনওরকম বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ করবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।