৮ নভেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের শেষ তারিখ। কিন্তু ৫০:৫০ জটে পড়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন এখনও অবধি শিকেয়। শিবসেনার সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা আপাতত নেই কংগ্রেস ও এনসিপির। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই বিজেপির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নামলেন শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি চায় ‘মারাঠাভূমে’ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ নভেম্বর। হিসেব মতো সরকার গঠন করা উচিত তারও আগে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় সরকার গঠনে অসমর্থ তাঁরা। অথচ কোনও স্বদিচ্ছাও নেই। এটাই স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে বিজেপি এই রাজ্যে জোর করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে।’ শুধু তাই নয়, সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা মহারাষ্ট্রের মানুষকে অপমান করা হচ্ছে। বিজেপির বলা উচিত তাঁরা সরকার গঠন করতে পারবে না এবং বিরোধী আসনে বসবে। কিন্তু ওরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয় চেষ্টা চলছে কেউ যাতে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন না করে। এটা সংবিধান বিরোধী।’
বিধানসভা নির্বাচনী পর্ব সাঙ্গ হওয়ার জল বেশ ঘোলা হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রে। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৫ টি আসন। অথচ সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৪ টি আসন। এদিকে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬। তবে জোট সরকারে শিবসেনার দাবি ৫০:৫০ সমীকরণ। বিজেপি তা দিতে নারাজ। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে শিবসেনা সরকার গড়তে চাইলেও সেখানে এনডিএর এই শরিক দলকে ঠিক ভরসা করে উঠতে পারছে না কংগ্রেস ও এনসিপি। পাশাপাশি দলের অন্দরেও রয়েছে আপত্তি। সব মিলিয়ে এই সমস্যা এখনও অবধি না মেটায় মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।