শোভন-বৈশাখীর ফের তৃণমূলে ফিরে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এবার কি তবে শঙ্কুদেব পণ্ডার পালা? বিজেপি নেতার মন্তব্যে মিলল এমনই ইঙ্গিত। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গে নাকি দূরত্ব বেড়েছে শঙ্কুরও। আর এই জল্পনা তিনি নিজেই বাড়িয়েছেন শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে।
বসিরহাটের এক জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তের সর্বাধিক চর্চিত যুগল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদূর পর্যন্ত কোনও জল্পনা জন্ম নেয়নি। কিন্তু, তাদের সঙ্গে একই বাড়িতে উপস্থিত হতে দেখা যায় বর্তমান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডাকেও। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর জোর জল্পনায় মেতেছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি শোভন-বৈশাখীর কাঁধে কাঁধ রেখে তৃণমূলে ফেরার পথ প্রশস্ত করছেন শঙ্কুদেব পন্ডাও?
যাকে ঘিরে এই জল্পনা, সেই শঙ্কুদেব অবশ্য একে পুজোর সৌজন্য বলেই আখ্যা দিয়েছেন। শঙ্কুর সাফ কথা, ‘এতে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। এটা নেহাতই পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সৌজন্য দেখানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি যেতে বলেন ওঁর বাড়ি যেতেও আমি রাজি।’তবে শঙ্কুদেব যাই বলুন, বঙ্গ বিজেপির নেতারা যে এই সাক্ষাৎ ভালো চোখে দেখছেন না সেটা নিশ্চিত করেছে বিজেপি সূত্র।
শঙ্কুর এই মন্তব্য জল্পনা দ্বিগুণ করেছে বৈকি। কেননা লোকসভা ভোটের পর ইদানীং কিছুটা উল্টো হাওয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির আবহাওয়ায়। যারা যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা ফের ঘর ওয়াপসি করছেন। যাদের মধ্যে শোভন ও বৈশাখীর নামই অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার হাত ছাড়া পুরসভাগুলিও একের পর এক দখল করেছে তৃণমূল। এই অবস্থায় শঙ্কুদেব কী ভেবে রেখেছেন সেই উত্তর সময়ই দেবে।