টি২০ ম্যাচে অঘটন সবসময় ঘটতে পারে। ম্যাচ শুরুর আগে এক মনে হলেও, ম্যাচের শেষে তা পাল্টে যায়। অনেক ভাগ্যের ওপর। এমনই মনে করেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তাঁর কথায়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনেকটা লটারির মতো। তা সত্ত্বেও আগামী বছর তাঁদের দেশে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে ভারতকেই ফেভারিট ধরছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা।
ভারত ছাড়া নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন তিনি। ভারত সফরে এসে একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে গিলক্রিস্ট বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় ভারত সেমিফাইনাল বা এমনকি, ফাইনালেও খেলতে পারে। টুর্নামেন্ট কে জিতবে, সেই পূর্বাভাস আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে সাধারণ ভাবে মনে হয় ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলবে।’’ অবশ্য দ্রুত মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘পাকিস্তান কুড়ি ওভারের ফর্ম্যাটে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা দল। তাই ওদেরও পুরোপুরি হিসাবের বাইরে রাখা যাবে না।’’ যোগ করছেন, তিনি নিজের ফেভারিট দলগুলির নাম জানালেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনও সময় যা কিছু ঘটতে পারে। ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনেকটা লটারির মতো। তাই আগে থেকে বিজয়ী বেছে নেওয়া কঠিন। যত ক্ষণ না জয়সূচক রান নেওয়া হচ্ছে, এই ফর্ম্যাটে কে জিতবে, বলা যায় না।’’
নিজের দেশে বিশ্বকাপ ছাড়াও গিলক্রিস্টের নজরে অবশ্য অন্য কিছুও রয়েছে। যেমন, আইপিএলে এই প্রথম ‘নো বল’ ধরার জন্য অতিরিক্ত আম্পায়ার রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মনে করছেন, তৃতীয় আম্পায়ারেরই উচিত ‘নো বল’ ঠিক মতো ধরা। তবে তার মানে এই নয় যে, তিনি চতুর্থ আম্পায়ার আসার বিপক্ষে। গিলক্রিস্ট বলছেন, ‘‘মাঠের আম্পায়ারদের পক্ষে নো বল ধরা বেশ কঠিন। গত বছরই তো রিপ্লে দেখার সময় বোঝা গেল, নো বল ছিল। তাই আমার মনে হয় প্রযুক্তির সাহায্যটা নিতে দেওয়া উচিত। তবে তৃতীয় আম্পায়ারও তো কাজটা করতে পারেন। তাই আমার মনে হচ্ছে, চতুর্থ আম্পায়ারের কি সত্যিই দরকার আছে?’’ দ্রুত অবশ্য যোগ করছেন, ‘‘তবে আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তটা হওয়া দরকার। তাতে যদি চতুর্থ আম্পায়ার আনতে হয় শুধু এই বিশেষ কাজের জন্য, ঠিক আছে।’’ চতুর্থ আম্পায়ার এনে ‘নো বল’ ধরার প্রক্রিয়া কি খেলা মন্থর করে দিতে পারে? জিজ্ঞেস করায় গিলক্রিস্টের জবাব, ‘‘সেটা মনে হয় না। আমি টিভি সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আম্পায়ারেরা টিভি স্ক্রিনের সামনে বসে পাঁচ সেকেন্ডে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’