প্রকাশ্যে যতই হম্বিতম্বি দেখাক বিজেপি অন্দরমহল কিন্তু বেশ টলোমলো। সেকথা প্রমাণ করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই। দিন কয়েক আগে সংকল্প যাত্রাকে ঘিরে একাধিকবার সামনে এসেছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। এবার সামনে এল মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে আরামবাগে বিজেপির কোন্দলের কথা।
হুগলির আরামবাগের খানাকুলে বিজেপি’র মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শিবিরে এই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, তারকেশ্বরেও একটি দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি’র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়। যেভাবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে, তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা।
গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ কেন্দ্র নিজের দখলে রেখেছে তৃণমূল। তারপর থেকেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাস লেগেই আছে আরামবাগে। নিজেদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা এভাবে প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় বিপাকে পড়েছে বিজেপি ।খানাকুলে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের আলোচনা সভার বাইরে রীতিমতো হাতাহাতি, ইট ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি’র দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়।
তৃণমূল নেতা সঞ্জয় দলুই জানান, আমি বিজেপিতে গিয়ে দেখেছি তাদের কোনও সংগঠন, পরিকাঠামো নেই। তাই আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসে শান্তিতে আছি। উন্নয়নের কাজ করতে পারছি। বিজেপি সিপিএমের হার্মাদের নিয়ে ঘর করছে। আর ওরাই এরকম অশান্তি করছে।
অন্যদিকে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা, গালিগালাজ, মারধরের ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক দিনে। বিজেপি সূত্রের খবর, তাদের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অধীন ৩০টি মণ্ডল আছে। ইতিমধ্যে ওই সব মণ্ডলগুলির সভাপতি নির্বাচন শুরু হয়েছে। তাতেই বিজেপির ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার নিয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হওয়ার পর থেকে গণেশ ঘোষকে দলের একটা গোষ্ঠী মেনে নিতে পারছে না। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী জমি হারানোর ভয়ে মণ্ডল সভাপতি পদে নিজেদের পছন্দের লোককে দেখতে চাইছে। পাল্টা বিরোধী গোষ্ঠীর পক্ষে প্রার্থী দেওয়ায় গন্ডগোল বাধছে।