দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে সন্দেশখালি গুলিবিদ্ধ হলেন এক সাব ইনস্পেক্টর-সহ তিন পুলিশকর্মী। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালির ফুল্লরা শ্মশানঘাট চত্বর। জখমদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রত্যেককেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে এলাকার নিরাপত্তাও।
সূত্রের খবর, এ দিন রাতে টহলদারিতে বেরিয়ে খুলনা গ্রামের আতাপুর ফেরিঘাটের কাছে বেশ কয়েকজনকে রাস্তার উপর বসে মদ খেতে দেখে পুলিশের তাদের সেখান থেকে উঠে যেতে বলা থেকে ঝামেলার সূত্রপাত। তারপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বোমা ছোড়া শুরু করে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে সাব ইন্সপেক্টর অরিন্দম হালদার, সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসোনা সিংহ ও ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতির গায়ে। তাঁদের সঙ্গে থাকা আরও এক গ্রামবাসীও গুলিতে জখম হন। ওই ব্যক্তি সরকারিভাবে না হলেও ভিলেজ পুলিশেরই কাজ করেন বলে জানা গেছে। বোমাও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
খবর পৌঁছয় সন্দেশখালি থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।গুরুতর জখম অবস্থায় গুলিবিদ্ধদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকেই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। তবে তারাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল কি না, সে বিষয়ে এখনও পুলিশের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। গুলিতে পুলিশকর্মীদের জখম হওয়ার ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। উর্দিধারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।