পিএনবি ব্যাঙ্কের থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন নীরব মোদী। সেই ঋণ না মিটিয়েই বিদেশ পালিয়েছেন তিনি। এর আগে বিজয় মালিয়াও ঋণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তবে দেশে এখনও এমন শিল্পপতিরা রয়েছেন, যাঁরা ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করেননি। আর এর জেরেই কিন্তু সাধারণ মানুষের আশঙ্কা বাড়িয়ে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ। এমন সময়েই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে রিপোর্টে মোট এনপিএ-র পরিমাণ বাড়ল ইয়েস ব্যাঙ্কে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা যায়, গত তিন বছরে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ₹১ লাখ ৭৬ হাজার কোটিতে। ₹১০০ কোটিরও বেশি এনপিএ রয়েছে, এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪০০-র বেশি।
প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন ত্রৈমাসিকের ৫.০১%-এর তুলনায় সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক রিপোর্টে ইয়েস ব্যাঙ্কের মোট অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৯%-এ। প্রসঙ্গত, গত বছর ব্যাঙ্কের এনপিএ-র পরিমাণ ছিল ১.৬%। এই ত্রৈমাসিকে মোট ₹৬০০.০৮ কোটি ক্ষতি হয়েছে ব্যাংকের। গতবছর একই ত্রৈমাসিকে ₹৯৬৫ কোটি লাভ করেছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ₹২,১৮৬ কোটি মোট আয় করেছে ব্যাঙ্ক।