প্রাক্তন মেয়র শোভনের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল দলের। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তবে ভাইফোঁটার দিন বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে ‘দিদি’র বাড়ি উপস্থিত হয়েছিলেন ‘ভাই’ কানন। এরপরই কিছুটা বরফ গলা শুরু হয়েছে। সেখানেই মুহূর্তের মধ্যে যেন কেটে গেল সব মান অভিমানের পালা। রাজ্যের তরফে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে শোভনের নিরাপত্তা। এই বিষয়টি মমতার নির্দেশেই হয়েছে এমনই জানাচ্ছেন বৈশাখী।
প্রাক্তন মেয়রের ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখী জানান কী, “মঙ্গলবার কালীঘাটে দিদি শোভনবাবুর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তিনি শোভনবাবুকে লেকে হাঁটতে যেতে বলেন। তখন শোভনবাবু বলেন নিরাপত্তার কারণে সব জায়গায় যেতে পারছেন না তিনি। তাই আগের মতো হাঁটাচলা করা হচ্ছে না। এই কথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচলিত হয়ে পড়েন। চিন্তিত গলায় তিনি বলেন নিরাপত্তার ব্যাপারটা দেখছেন। তারপরেই শোভনবাবুর নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”
শোভনের নিরাপত্তা ফেরানোর সঙ্গে যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই তাও স্পষ্ট করেন বৈশাখী। তিনি বলেন, “শোভনবাবুর সঙ্গে দিদির ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্যই এই নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আমাদের সামনে কোনও শর্ত দেওয়া হয়নি যে ফের তৃণমূলেই ফিরতে হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এই বিষয় নিয়ে যদি কেউ রাজনীতি করেন তাহলে তা তাঁর সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়।” তবে তিনি যাই বলুক না কেন এতদিন জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এখন এটাই দেখার শোভন তাঁর পুরোনো আস্তানাতে কবে প্রত্যাবর্তন করছেন।