উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি কি রকম তা নিয়ে দেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে উদ্বেগের বিষয়। পৃথিবীর নানা দেশ এই নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিছুদিন আগেই আমেরিকা কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এবার সেই তালিকায় যোগ হল জার্মানি। শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যা ঞ্জেলা মার্কেল ভারত সফরে এসেছেন। দিল্লীতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অ্যা ঞ্জেলা মার্কেল। তিনি জানিয়েছেন, আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুনতে চান, কাশ্মীরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁর সরকার কী পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে আমেরিকা বলেছিল, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি এখনও। কাশ্মীরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য ভারতের কাছ থেকে একটি ‘রোডম্যাপ’-ও চেয়েছিল তারা। আরও বলেছিল, রাজ্যজুড়ে একাধিক রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে শুধু ভারতকে নয়, পাকিস্তানকেও বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ‘স্থায়ী ও আপস না করার মতো’ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিকের মধ্যে বেশিরভাগ নেতাকেই বন্দি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসের ৫ তারিখে উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে গোটা রাজ্যকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী হিংসা আটকানোর জন্য উপত্যকার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি-সহ রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দিও করা হয়। বিচ্ছিন্ন করা হয় টেলিযোগাযোগ। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় পর্যটকদের উপর।