বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে এখনও তুঙ্গে শিবসেনা-বিজেপি কাজিয়া। দর কষাকষি, কার্টুনের মাধ্যমে কটাক্ষ তো চলছিলই। এবার বিজেপির ঔদ্ধত্য নিয়েও সুর চড়াল শিবসেনা। শুক্রবার সকালেই কারও নাম করে হিন্দিতে একটি টুইট করেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। টুইটে স্পষ্ট, তিনি কটাক্ষ করেছেন বিজেপির ঔদ্ধত্য নিয়ে।
মাত্র দু’টি আসনে সমঝোতা করে নিলে এখন হয়তো মুখ্যমন্ত্রী হতেন তিনি- ২০১৪ সালে শিবসেনার সঙ্গে তাদের জোট ভেঙে যাওয়া প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। ভোটের আগে জোট না হলেও, পরে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকারে গঠন করেছিল শিবসেনা। তারপরে পাঁচ বছর ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছে শিবসেনা। যদিও লোকসভা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের আগে তারা ফের বিজেপির সঙ্গেই জোট করে।
লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় শিবসেনাকে পাশে না পেলেও চলত গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু এখন মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে হলে শিবসেনা ছাড়া গতি নেই বিজেপির। আর এই সুযোগই পুরোমাত্রায় কাজে লাগাচ্ছে শিবসেনা। তারা এতদিন বিজেপির কাছে ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলা মেনে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্ব দাবি করছিল। তবে এখন তাদের হুঁশিয়ারি, চাইলেই সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক জোগাড় করে ফেলতে পারে তারা।
ইতিমধ্যেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করেছেন সঞ্জয় রাউত। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীও শিবসেনাকে এই প্রস্তাব দিয়েছে যে, তারা যদি বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে, তাহলে সরকার গড়তে তাদের সমর্থন করবে কংগ্রেস এবং এনসিপি। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন উদ্ধব বা আদিত্য ঠাকরে। এনসিপি-ও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই প্রস্তাবে রাজি৷ তাই জল্পনা আরও বেড়েছে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে।